প্রণমি তোমারে মহাদানবীর হে মহীয়াণ,
তোমার দেহের শোণিত প্রবাহে বাহিত শতেক প্রাণ।
ওই যে শিশুটি কচি দুটি চোখে তাকায়ে তোমার পানে
করুণ দৃষ্টি, ম্লান, ভাষাহীন; তুমি ওর কানে কানে
বলেছিলে বুঝি জীবনের কথা, দিয়েছিলে ভাষা মুখে?
তোমার দানের সেই এতোটুকু তাজা লাল টুকটুকে
তরল রক্তে ওর জীবনের আকাশে উঠেছে রবি;
তোমার দানেই ভাষা পেয়ে গেছে ভোরের পাখি ও কবি!
তুমিও হয়তো জানো না তোমার এই এতোটুকু দানে
বেঁচে যাবে কোনও রবীন্দ্রনাথ, বিশ্ব ভরাবে গানে।
লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি কিংবা গগ-পিকাসোর চেয়ে
তোমার সৃষ্টি আরও বেশি বড়, দেহে প্রাণ ফিরে পেয়ে।
ক্ষুদিরাম বোস, প্রফুল্ল চাকী, নেতাজি, মাতঙ্গিনী-
যাদের বুকের শোণিতের দানে ভারত মাতাকে চিনি।
রফিক, শফিক, কতো নির্ভীক যুবক-যুবতি, চাষা-
রক্তের দানে বাঁচিয়ে রেখেছে প্রাণের বাংলা ভাষা।
তবুও মানুষ জাগে সম্মুখে, মানুষ বিহীন কবে
দেশ জেগে ওঠে, ভাষা বয়ে চলে উৎসবে উৎসবে?
এসো ভাই-বোন, বন্ধুরা এসো বিমল আনন্দনে
আবদ্ধ হই পারস্পরিক রক্তের বন্ধনে।