সফল আসেন তিনি তবু কষ্টকর
জৈষ্ঠে জামাই-ষষ্ঠী কী যে মনোহর!


আনন্দে ডাকে দেয়া, সরবে দাদুর;
রথ টেনে ছোটে দেখো খোকা বাহাদুর।


প্রথম কবিতা লেখা; প্রথম যৌবন,
মৌন শিখিয়ে চলে সজল শ্রাবণ।


ভাদর আদরহীন তবু পাকে তাল।
পিঠেপুলি সারা পাড়া গন্ধে মাতাল।


শিউলির পথ বেয়ে মা আসেন হেসে
আশ্বিন আনন্দময় সারা বঙ্গদেশে


একটু হিমেল ছোঁয়া শুদ্ধ শিশির
শান্ত সমীরে শোনো বানী তপস্বীর


মাঠে মাঠে সোনা-রোদ, ফসলের গান
চাষার ভাষার মতো আগত অঘ্রাণ


পৌষালি আয়োজনে পার্বন-মেলা
দিকে দিকে পিকনিক, হুল্লোড়, খেলা


মাঘের কাঁপুনি কিছু নিরাশার নয়
অদূরে বাড়ানো হাত নিত্য প্রেমময়


কী বিচিত্র ফুলশোভা, কী বর্ণবাহার!
ফাল্গুনে ফুল্লিত প্রেমের সম্ভার।


চিত্ত চৈত্রে এসে ছেড়ে মায়াটান
জাগিয়ে রেখেছে বুকে মুক্ত শ্মশান।


সমূহ শ্মশান-ছাই উড়িয়ে আকাশে
নতুন দৃষ্টি মেলে গৌরবে সে আসে।


ক্রমে বিক্রমে জাগে হারানো মৈনাক।
রবি-প্রসূ এসো প্রাণে; স্বাগত বৈশাখ।