যদি ও পীড়নে প্রাণ,
তবুও শুনেছি তোমার  ডাক।
পৃথিবীর সুতীব্র চিৎকারে,
তোমার  ভাষা খুঁজে  পাই।


উদ্ভাসিত চোখে আসন্ন যুগের-
অঙ্গীকার তোমায় ফিরে পাওয়ার।
একবার  ফিরে আসো  নিষ্কম্প  প্রকৃতির-
কোণে, রুদ্বশ্বাসের অগ্নিগর্ভে,
আশার জয়ধ্বনির উচ্চারণে।


ধন্য হোক  বিশ্বজন তোমার;
রক্তাক্ত আভায়।
তোমার দিব্যচক্ষে অনাগত,
স্পন্দিত বিধ্বস্ত  স্নায়ু।
সহায়হীনের যন্ত্রণায়, উত্তেজিত তিক্ত ভাষায়,
গ্লানির  আঘাতে জন্মহোক;
তোমার  রচনায়, তোমার কাব্যের ধারায়।


যখনই  বারংবার ক্লান্ত হয়েছি,
চতুর্দিকে  ছড়িয়ে  ছিলে কাব্য হয়ে।
সমস্ত  বাঁধন ভেঙ্গেছি তোমার  গতিরুদ্ধতায়,
আমার সংশয়ে প্রতিবার তোমার  ব্যক্ত রচনা,
আমায় শুদ্ধ  করে তুলেছে।


প্রতিটা অন্ধকার  দিনে তোমার  সৃষ্টি-
জেগে উঠে বলে, আমি নিষ্ঠুর প্রেমের,
সুস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি  এঁকে  যাই দু হাতে !
মনের গভীরে তোমার  পঁচিশে বৈশাখের,
পঁচিশটা যুগ কুড়িয়ে  নেই  স্তব্ধ মৌনতায়।
শব্দের স্রোতেই মাতাল হয়ে ফিরে আসো,
'ভানু' ঠাকুর  মায়ামৃগ  অবনির অক্লেশে।