ক্ষীণ আলোর নিশান-
ভালবাসা'র খুঁজে।
মন চায় বাউল  হয়ে ঘুরতে,
কোন এক নাম না জানা পথে।
অপ্রস্তুত গন্তব্যের  নিরুদ্দেশে!


বেদনার ঠোঁটে ঝুলন্ত গহীনের সুর,
শুধু মরীচিকার  হাত ধরে একলা;
পথিক ক্ষ্যাপা ছুটে  যায়  পিছুটানে।
প্রশ্ন করে ক্ষ্যাপা নদীর  বুকে ছন্দ গড়েছি,
তবে নদী কেন আজ পাষাণ শব্দে খেলা করে?


শাশ্বত  ভালোবাসা  মূহুর্তেই স্থির চিত্র,
বেলা শেষের গান  কুমারী  নক্ষত্রে ছুঁয়ে যায়।
নদীর কিনারে এলোকেশী রমণী নিতান্ত,
অবেলায়  ডেকে এঁকে  দেয় প্রগাঢ়  চুম্বন।


একটা পৃথিবী  যদি এমন  হতো যেখানে,
শুকনো মুখে কবিতার শরীর  বুনলে;
অনন্ত  শান্তি মিলে  নেমে আসে জ্যোৎস্নার ঝাঁক।
একরাশ প্রেম এনে দেয়  মেঘের  কাছে বৃষ্টিকে!
তখন ঘুমন্ত  ক্ষ্যাপা চিৎকার  করে উঠে ;
এমন পৃথিবী শুধু  স্বপ্নের  নাটকবাজি।
সংসার  গপ্পো  জানে না ক্ষ্যাপা  উন্মাদ  চিত্তে!
শেষ রাত্তিরে আবার গান  ধরে ক্ষ্যাপা,
মধ্যরাত্রের প্রতিবেশীর মতো অকথিত --
সোহাগে ক্ষ্যাপা ছুটে  যায়  অদৃশ্য রাশমঞ্চে।