পারদের মতো কমে যাওয়া কতগুলো স্মৃতিদের দল,
হাওয়ায় ভাসছে এখন ।
তারা এখন পরিচয়হীন ।
তারা এখন জ্বলছে দাউ দাউ করে,
রাবনের চিতার মতো !
আর ওই চিতার গমগম শব্দে কান মাতছে ।


কখনো বা ভয় লাগে, কখনো বা শীত ।
মনে পড়ে তারা যে পরিচয়হীন । তারা আসে ।
আবার মিশে যায় উষ্ণস্পর্শে ।


ক্ষণিকের জ্বরে যেদিন পড়ে থাকি বিছানার উপর,
একা -
লেপ জড়িয়ে, থরথর করে শরীরটা ওঠে কেঁপে,
শিরের শিরার চাপ বাড়ে, হাঁটু, গাঁট ব্যাথা হয়,
তবু পড়ে থাকি আঁকড়ে -
ওই কানে কানে ধুকধুকিয়ে আসা ওই ক্ষীণ শব্দটাকে ঘিরে ।


জ্বর কমলে পর, উঠে দেশলাই নিয়ে
বারুদের গায়ে হাত বুলিয়ে  
তাদের করি নিমন্ত্রণ । তারপর
হুস করে জ্বলে ওঠে হারানো স্মৃতিরা ।
যাদের দেখেছি শ্মশানে ।
চুল্লির উপর মরদেহ, আর তারা দিচ্ছে হাতছানি,
হাত বাড়াচ্ছে ধরবে বলে !
হা হা করে হাসছে, ব্যঙ্গ করছে ।


আজ ওই আগুনকেই প্রয়োজন ।
আমার শরীরে উষ্ণতার প্রয়োজন ।
জ্বলন্ত অগ্নিশিখায় ডুব দিতে চেয়ে ওই স্মৃতিগুলোকে আবার দেখতে চাই ।
একবারের জন্যেও চাই ।
চাই যেন তারা প্রতি শীতে আসে ওই শীতল হাওয়ার স্পর্শে,
আর তারপর -
পড়ে থাকুক ভস্মীভূত ছাই হয়ে ।
অদৃশ্য হোক শীতল বাতাসে ।।