০৭.০৫.২৪

ভাষা নাভিমূল থেকে
জিহ্বার ডগায়
তুলে আনা কবিতার একেকটা শব্দ
কৈশোর অভিলাষে মাথা তুলে তাকায়।

দুরন্ত ডানায় শিহরণ জাগে কেঁপে কেঁপে
খোজে মুক্ত সুনীল আকাশ।

জলের আয়নায় পুলকিত ছায়া ফেলে
কোমর পানিতে দোদুল শাপলা..

কার জন্য গাঁথি মালা!

এনহেদুয়ান্না-
আমার প্রার্থনা
প্রথম প্রেমিকা, পবিত্র কুমারী..

হয়তো কোনো প্রেমবৃক্ষ-
আকাশে, শরৎ শুভ্র মেঘে প্রেম আস্বাদন
ভাবি, খুঁজি, আরোহন করি
কখনো অবগাহন- নিবিড় মন্থন সুখে।

জানালার চোখ দিয়ে ভেসে যায় অবিরত
চোখসুখ আস্বাদিত শত-
ঈষৎ শুষ্ক হাওয়াই মিঠাই মেঘ।

অথচ যখন দীর্ঘ অনাবৃষ্টি
পথ দীর্ঘ মরুময়
ছেয়ে যায় কাঁটাগাছ ধীর
পিপাসা চৌচির
তিতানো তিমির চোখ
তাকায় গহীনপুর মেঘেদের দরজায়।

ভয়ার্ত কোনো পথিক
অথবা পলায়নপর মন সন্ন্যাস
হাটে না সে পথে আর
পড়ে থাকে শুধু দীর্ঘশ্বাস।

তবুও তখন
ছেঁড়া-ছেঁড়া পেঁজা-পেঁজা
হাওয়াই মিঠাই মেঘ
পেরেকে ঠুকে ঠুকে সেলাই করি রোজ
আয়েসে মেঘকাঁথা
হৃদয় শিয়রে বসে।

আশা- সেই ওমে ভারি হয়ে
গুমোট বাতাস যদি
নুন গোলা জলে ভিজে-

কাঁথার ঝাঁপি খুলে কোন একদিন
বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে-
ফুল ফোটাতে সেই সকল কাঁটাগাছে।