১৩.০৪.২২


অবিনাশী তার চোখের চাহনি
আবেশিত করা দেহমন সবই।
অনুপুঙ্খ বায়ু তরঙ্গ থেকে
আমার হৃদয়ের কথা পড়ে
মাথার এন্টেনাগুলো তার!
সে যে তাকায় আমার দিকে অনিমেষ
অগাধ অতল তার প্রেম ভরা চোখে।


আহা! এই সেই চোখ, সেই চোখ
যে চোখের অবাধ গভীর প্রেম
তাকে দেখিয়েছে পথ অনন্ত-অসীম!
দেখিয়াছে তাহাদের
যাহাদের অভিযোজন ছিলো
নিতান্ত সসীম।
ব্যাঙাচির মতো লেজ খসিয়েছে মানুষ
ম্যামথ হাটিয়াছে ডাইনোসরের পথে, এমনি
আবার কতো যাতনায় বেহুশ
কালের প্রবাহ পথ ধরে কতো কতো- অগণিত!
তথাপি আজও তাহাদের ভালোবাসা
উদরে পুরিয়া অবিরত চলিতেছে পথ উদ্ধত-অক্ষত,
জীবনের প্রেমাসক্ত চোখে
আজও সে উচ্ছল-উজ্জ্বল।
তার তেলতেলে নরম নধর শরীর
উদরে জমানো মৃতসঞ্জীবনী
বাসনার জল
কামনা পিছল
দেহে জীবনের স্বাদ অনর্গল
শ্বেত-শুভ্র আলোকচ্ছটা ড্রয়িং রুমের দেখে তায় হতবিহ্বল!
আলোক সাগর বুঝি আজ তার পালে
হাওয়া দিয়ে আনে কামনার জোয়ার।
আমি জানি পরিপূর্ণ উদর তাহার
দ্রবীভূত জীবনের নির্যাস- সমস্ত পৃথিবীর।
তাহারে দিয়াছে জীবনীশক্তি, আর বাঁচিয়া থাকিবার সাধ
অসীম অবাধ।


ছোট ছোট তাহার ভুজঙ্গ পা-গুলি করাত,
এন্টেনাগুলি পৃথিবীর পরে কালের সওগাত,
ডানাগুলি বুঝি ঈষৎ পেঁয়াজর খোসা-
হয়তো স্বর্গের কোন এক আঁস্তাকুড় থেকে আনা!
এন্টেনা ঘুরায় নাড়িতেছে পা, নাড়িতেছে তাহার ডানা,
মদিরা মদির দেহ পল্লব থেকে টুপটুপ করে
পড়িতেছে খসে তাহার কামনা।
আর বাসনার ঝাঁজে মিলনের গন্ধ বাতাসে দিয়াছে হানা ।


এখনি সে অন্ধ উড়িবে বাতাসে-
এখনি উড়িবে জানি,
যদিবা তাহার চোখের চাহনিতে হারায়ে যাচ্ছি আমি!
তাইতো আমার উদোম শরীরে শীতল শিহরণ জেগে-
কেঁপে কেঁপে উঠিতেছে দেহ।
চোখের চশমা- খসে পড়েছে পায়ের নীচে
আগ্রাসী তার-ই অনন্ত প্রেমের
বিহ্বলতায় গিয়ে ফেঁসে!
উড়িবার তাহার দেখে অনুরাগ- বিপন্ন আমি ক্লেশে।