১৪.১১.২০২২


কুড়োই না ঝরা বকুল এখন
শিউলি তলায় যাইনে কখনো আর


আনেনা তৃষ্ণার জল শিশিরে ভেজা ভোর আমার
জেগে উঠে ডুবো চর


মিঠে-ক্লিশে সেই গন্ধ বড্ড বেশি ক্লান্ত করে তোলে
আজকাল অবিরল
-বাতাস দূরদেশে বয়ে নিয়ে যাক তারে।


বাতাস সোহাগি ক্ষণিকের
লক্ষী পয়মন্ত যেকোনো অচলা গৃহস্থী নারী
অনুপম সেই রূপে আমি দেখি-
চমৎকার নির্বিকার নিস্পন্দ হাসি


ঝুলে থাকা পৃথিবীর বর্ষায় চুবানো জোলা
কোনো এক ড্যাব-ডেবে চাঁদ
চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়া রূপ আর সুধার মদিরা।


অথবা রুপের পসরা নিয়ে গিয়েছে চলে পৃথিবীর
প্রয়াত কবিদের হাত ধরে যে নারীরা


তাহাদের কথা ভেবে ভেবে
সেই রুপ আর সুধার মদিরা গায়ে মেখে
গ্লাসে গ্লাসে পান করে


আজও মাটির পৃথিবীর কবিরা-
জলের সারল্য নিয়ে করুক কাব্যচারিতা।


প্রয়োজন যদি কিছু থাকে
অথবা অপ্রয়োজনে তারা
করুক সুবিধা মতো খেলা আর অবহেলা


আমি শুধু ভাবি সময়ের হড়কাবান
এসেছে কখন সময়ে সময়ে ভেঙ্গে গেছে পাড়
মিশেছে যেভাবে সময়ের ঢেউয়ে কুল ভাঙা হাহাকার


তাই নিয়ে যাও লক্ষীকে দিলাম তোমাদের পুনর্বার
রাখিবে কি সোনার কৌটায় ঢেকে অথবা রূপার!


-বাসনার ঝাঁজে আমার চৈত্রের চাঁদ
আর ঝাঁঝালো বাতাসে কার্তিকে রহস্যাবৃত কোনো রাত


ছাতিম ফুলের গন্ধে ভারি শয্যা পেতে
মাদকতা বিলানো শরীরে ঢল-ঢল অবিরল


কালীর অদ্ভুত রূপ সাধা ছাতিম গাছের তল
রণচণ্ডী সাজে আসিবে সে
কালের সমান্তরাল


জেনেছিলো মাদকতা সুখ ধুতুরার ফুল একদিন
গন্ধমাখা নির্যাসে তাহার
ধুতুরার মালা পরে দেবো সেই
ধুতুরার ফুল উপহার।


কুয়াশা চাদরে ঢেকে খেলিতে প্রেমের খেলা
সারা রাত্রিবেলা-


সৃষ্টির লীলায় এসো নবরূপে তুমি এলোকেশী
ছাতিমের তলায় আবার
রহস্য সাথে যেখানে মিশে রয়
শ্যাম-ছায়া ঘনকালো এক
অপরূপ অন্ধকার।