০৩.০৬.১৮


আলাপে-প্রলাপে ভরা বর্ষায় যখন-
বজ্রমেঘে নেমে আসছিল প্রেমগুলো আমার,
উচ্ছ্বাসের ঘন মেঘমালাকেই সেদিন যক্ষের ধন ভেবে-
তোমাকেই সঁপেছিলাম সবকিছু আমি।


আমার প্রথম সেই প্রেম-
তোমাকে কি গরিয়সি করে নাই!


বিষাদের বৃষ্টিতে ভিজে সেখানে
তুলসী তলায় বুঝি নিভে গিয়েছিলো প্রদীপ!


একান্ত স্নানে হওনি পবিত্র তুমি!


অথচ দিয়েছি তোমারে সেদিন
যাকিছু সব-ই অঞ্জলি ভরিয়া আঁচলে তোমার।


লাঙ্গলের ডগায় সিঞ্চিত প্রেম
কিষাণের অভিলাষে আনে ফসলের সওগাদ।


কর্ষণ করিয়া ভূমি
আমি মরুভূমি
আনিলাম অঝোর বর্ষা সেদিন
তোমার নিরস অঙ্গ চুমি।


প্লাবনের জলের ভিতর স্নানরত থোকা থোকা
ডুবু ডুবু দেখেছি সোনালি শস্যক্ষেত
পুলকে পুলকে কেঁপে কেঁপে ওঠে ভুলে তার সব ক্ষেদ।


কদম কেয়ার বনে
জাগে সে-কি শিহরণ-
বাতাস উদ্দাম
তুমি আমি অথচ অবিচল দু'জন!


ব্যঙের মিছিলে দেখেছিলাম চেয়ে সেদিন
জীবনোচ্ছ্বাসঘন নতুন দিন।


বিদ্যুৎ চমকে হাতে হাতে ধরে
কিছুটা আলো কিছুটা অন্ধকারে-
পথের ঠিকানা খুঁজে ফিরে ফিরে অকস্মাৎ-
নোঙর করেছো তুমি সুখে!


অতঃপর বেমালুম পথ ভুলে
আজও আমি অনিকেত।


কেবল-ই মনে হয় সে-কি ছিলো পথঘুম
পথের ক্লান্তিতে পথের-ই অভিঘাত!


উত্তর আধুনিক কবিতা দুর্বোধ্য তোমার মন-
কেন্দ্র তার সঞ্চারিত থেকে থেকে,
পুরাতন কেন্দ্রের স্বাভাবিক সম্পাত।


তবু থেকে গেছে সেখানেই-
আমার প্রথম বর্ষার সরল রেখাপাত।