১৪.০৪.২২
নয় কোন কাব্য কবিতা,
কবি যশোপ্রার্থিতা নয়,
সময়ের কিছু কথা বয়ে নেয়া কালান্তরের খেয়ায়।


একদিন আজকের মতো ফুল ছিলো, কীট ছিলো,
ছিলো পাখি আর বেধেরাও একইসাথে চরাচরে।


ছিলো বোধ-নির্বোধ তখনও,
তখনও দস্যু মেঘের দল লোপাট করেছে সূর্যের হাসি,
কালে কালে আকাশ ছেয়ে উড়েছে শকুন
আর শকুনির দল।


তবুও গেয়েছিলো লালন, হাসন রাজা
পাগলা কানাই মানুষের গান।


নিত্য বয়েছে পদ্মা মেঘনা মধুমতি অবিরাম-
ভেঙ্গেছে গড়েছে নিয়ত দুইপারে কৃষকের সোনালি স্বপন।


আকাশে সোনালি ডানার চিল তখনও আকাশে,
কেঁদেছে নীড়ের খোঁজে এ বাংলার শ্যামল প্রান্তরে।


সবুজ সাগরে ভেসে
গেঁয়ো কালো সবুজ কিশোরী তার,
বাতাসের ভেলায় উড়ায়ে শাড়ির আঁচল
আনমনে খেলেছে অবিচল।


বিমোহিত কোনও রাজার দুলাল
পঙ্খীরাজে করে- তলোয়ার কোষে নয়,
অভিসারে এসেছিলো তার
দ্বিতীয়া চাঁদের কাস্তে হাতে তখনও একদিন এই বাংলার-


গান গেয়ে শিস দিয়ে মাথায় মাথাল
ভাপা পিঠার উষ্ণতা বুকে কিষাণের ছেলে
নগ্ন পায়ে দলে শিশিরে ভেজা দূর্বা কোমল
হেমন্তের আরাধ্য সকালে।