২৬.১২.২১


আমার ঘুঘুরা রোজ আসে এইখানে
গাছে গাছে ঝোপের আড়ালে


বোনে কি প্রেমের স্বপ্ননীড় শীতের মধ্যাহ্নে!


ঝরে পড়া পাতাদের তানে তাহাদের গানে
আনে কোন্ কুহেলিকা নব-প্রণয়ের ডোরে!


শীতের কান্না ভুলে বসন্ত প্রাতে সরিষা বীজে যুগল
নিসঙ্গতা বেদনায় নিজেদের রোদনের নোনা জল


মুছে ফেলে এতোদিনে তবে
ফোটাবে বাগানে ফুল হলুদ প্রেমে তাদের!


হলুদিয়া পাখিদের ভীড়ে থেকে থেকে
হলুদ প্রেম বুকে ডাকে পিউ কাহা পাপিয়া


সম্বিৎ ফিরে পাওয়া বসন্ত বাউরী, সেও
দেখি ফিরে আসে তার নীড়ে!


বাউলিয়া দিনে আগুনে পলাশ বনে
কোকিলের গান- শুনে- শুনে একদিন


পিপাসার্ত হয়ে গ্রীষ্মের চাতক বিরহ কাতর স্বরে
ডাকে ফটিক জল আকাশ মেঘে চেয়ে


প্রেম শুধু তার শ্রাবণের জল অবিরল!


তাই বুঝি ডাহুক প্রেম একদিন আবার
আকাশ কাঁদিয়ে এনে দিলো বন্যা তারে, অভিসারে


থৈ থৈ সে বন্যায় হেসে-খেলে, ভেসে ভেসে ঝিলে
সবুজে গড়েছে বসত ডাহুকী সাথে মিলে!


ভরা জল নেমে এলে পরে- কোন এক ভোরে


নীল প্রেমগুলো ফুর-ফুরে হাওয়ায় হাওয়ায়
কাশ বন আর বকের ডানায়
মেঘে করে ভর চরে বেড়িয়েছে সমস্ত আকাশ।


এইভাবে পাখায় পাখায় অপার দিগন্তে
প্রেমগুলো সব বিলিয়ে আকাশে-


ঠোঁটে আর পায়ে অস্তাচলের আবির মেখে,


একদিন ধবল মেঘের বর নিয়ে গৃহলক্ষ্মী তার
ফিরেছিলো কপোত-কপোতী হয়ে-


হেমন্তে, এই বাংলার-
ফসলের মাঠে।


আহা যৌবতী কন্যা হৈমন্তী
সোনা সোনা অঙ্গে আলয়ে আমার-


এলে ফিরে প্রতীক্ষার সেই এক-ই উতলা পরানে আবার


তোমার-ই অকৃপণ প্রেম উঠোনে উঠোনে
আস্বাদনে খুঁজে ফিরি জীবনের নবতর স্বাদ


মেতে ওঠে উৎসবে বুকের কপোতী-কপোত।