২৫.১০.২২


ইন্দ্রনীল মেঘে মেঘে
ইন্দ্রধনু হাতে রণচণ্ডী সাথে নিত্যকার লড়াই আমার
এলোকেশী চামুণ্ডামালিণী
সিদ্ধ যোগী মেনে এই কার্তিকে ছাতিম তলে
আমার করতল পুষ্ট এক আদুরে মিঁউ।


অথচ তোমার নরম কাশফুল মন
অকাট বিস্ময় এক
দাপিয়ে কাঁপিয়ে যায় আমার উঠোন...


যতোটা সাদা নিয়ে শিমুল তুলো মেঘে করে খেলা
কার্তিকের রোদ্দুরে উড়োয় সকালের কপোত সাদা ডানা


সেখানে দেখি আমার কুলগাছ ছেঁয়ে জড়িয়ে থাকা
সহজ সরল সোনালী দীঘল দেহলতা


হেমন্ত কন্যা তুমি হেমন্তের উঠোনে দেখা ফেলে আসা দিনে
যেদিন আজও দোলা দিয়ে যায় সোনার শিকেয় কোন কৃষকের বুকে
তুমি বুঝি ছিলে সেখানে পূজিতো লক্ষ্মীরূপে …


খিড়কির পুকুরে জানালায় চেয়ে দেখা
ফুরিয়ে আসা এক ডুবুরির দম


আরও দেখি চেয়ে মৃদু বাতাসে
জল তরঙ্গ-দোলা খেলে যায় হরদম
ঝরে স্মৃতির সুদূর সোনালী হলুদ পাতা অবিরাম


আমি ফেঁসে যাই, আমি ভেসে যাই, আমি হেরে যাই
ছিঁড়তে পারি না স্বর্ণলতিকা ডোর, করতে পারিনা হেলা...


বলো- কি করে সেখানে চলে
শান্তির নামে অসম কোনো এক যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা!