২৭.০৪.২০


দুধেল জোস্নায় কাশবনের ভিতর দিয়া তর তর করে চলে যাওয়া লোকটি- কাশফুল নয়। টোনাই, ঠিক শুনছেন, জ্বি- টোনাই। পায়ের গোঁড়ালিতে চৈত্রী বারোমাস, মাথার চুলে সজারুর দেহ সৌন্দর্য বিন্যাস। এই রকম লোকেদের নাম এমনই হয়। গেছিলেন হাটে। তিনি মুয়াজ্জিন। তাঁর যিনি ঈমাম- তিনি রেডিও শোনেন না। ওটা যাদুর বাক্স, -যাদুতে পাপ। কোন এক রমজান মাসের আছর শেষে কাটারি হাতে ক্যাপসুল কাটেন- উঠানে বসে, শক্ত মোড়কে ঢাকা। পিছনের পাতলা রেপিং নিয়ে ভাবেন না তিনি। ভাবেন- কোম্পানি গুলা বোকার মতোন, কি-যে সব শক্ত কাগজে ক্যাপসুল বাঁধে! কাটা যায় না সহজে। ইফতারি শেষেই ঠি-ক খেতে হবে। ডাক্তারি নিদান, হেলা ফেলা করা যায়! তাঁকে দেখে মনে হতো- বিশ্বাস দেখার বস্তু। শখ চাপছিল সেই তাঁর মনে, ব্যবসা করতে। অবশ্য কোনো চাঁদ সওদাগর হবেন বলে নয়। নিতান্তই ঘর গুজরানের জন্যে। পাটের ব্যবসা। হাটে কিনে- হাটে বেচা। পাড়ার সমবয়সী সবাই ডাকতাম তাঁকে, বড়-বা বলে। কাশফুল আছিলেন না তিনি। আছিলেন তার চেয়েও কিছু বেশি, সাদা মনে দাগ আছিলোনা বলে, মুনাফা হাত ধরে নাই। স্বচ্ছ জোস্নায় একাকী চলতে চলতে স্বগতোক্তি করলেন- 'আমদানি হুলাইড লাভ হইলো না'। আকাশের দিকে তাকায় দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে অতঃপর বললেন- 'যারা টান্ট্রি-মান্ট্রি করে, তাদের হয় তো হয়'।
বোঝা গেলো কাকজোস্নায়- হুলুস্থুলু সরবরাহ
আর চালবাজি, চাঁদের স্বচ্ছতায়।


সেদিন জোস্নাস্নাত রাতের ডিকশনারিতে
ধরা পড়েছিল কোন এক দার্শনিকের ছবি।
কোটারি সিদ্ধ হুলাইড আর টান্ট্রিমান্ট্রি তত্ত্ব-
তাঁকে ব্যবসায়ী হতে দেয় নাই।
হতে দেয়না।