২৭.১২.২১


একটি কলির কথা বলি-  যে কোনো সকালের। নীল ছিলো কলিটি তখন। বলতো একদিন সবাই মিলে, এ হলো কবির কলি- অনাগত আগামির। এইসব শুনে শুনে লাল হয়ে উঠেছিলো কলিটি, অতি ধীরে- আধ-ফোঁটা যখন। চারিদিকে মধুপের গুঞ্জনে, গুঞ্জনে, আর অগণিত রঙ-বেরঙের ফুলেদের হাসিতে- লাল থেকে লাল- লাল হয়েছিলো আরও, শিহরণে শিহরণে। বুভুক্ষু পৃথিবীর সমস্ত লাল নিয়ে এমনি করে পুঞ্জিভূত হতে হতে রক্তপুঁজের মতো কালো হয়ে পড়েছিলো -একদিন সবার চোখে। আহা, অন্ধকারের গাঢ় মজ্জার ভিতরে মৃত্যু কুপের মতো- নিকষ কদাকার সে কালো, -বিবমিষা জীবনের। মধুপেরা গিয়েছিলো সরে! যদিও টান ছিলো কুয়াশায় তাদের লুকোনো গভীরে, তবুও আসে নাই কাছে- করেছিলো গান ঘুরে ঘুরে দুরে-অদুরে। বসে নাই বুকে ভয়ে- যে কোন মধুপ, -ভুলে অলক্ষ্যে সবার! ক্ষরণে ক্ষরণে নিভৃতে তখন অন্ধকারের পাঁজর থেকে ঝরে পড়েছিলো অনেক-টা লাল। এই কালো পৃথিবীর প'রে যেমনি করে থেকে থেকে, কেটে যায় আঁধার, -অতি ধীরে। তার পর ফিকে হতে, হতে, -একদিন, কিছু নীল আর কিছু লালের অধঃক্ষেপে সেখানে জমেছিলো অমৃত সুধা, -নির্যাস জীবনের।


বিরহ বিধুর আকাশটা যেমন দিগন্তপিঠে- অস্তাচলের,
সন্ধ্যা নামিবার আগে অই দুর নাগালের।