***********
আমিই বোশেখের রুদ্র দুপুরে কাঠফাটা রোদ ভেঙে
ঝর ঝর বর্ষা এনেছি নামিয়ে – তাই কী রাগ, কী রাগ তোমার
সারাদিন না খেয়ে না দেয়ে ঝুম মেরে পড়ে থাকলে বিছানায়
আমিতো তোমারই কষ্ট হচ্ছে ভেবে
                                নামিয়ে দিলাম মেঘের আঁচল
আচ্ছা তোমরাই বলো, ঠা ঠা রোদ্দুরে
                                বৃষ্টি নামানো কী এমন পাপ

আমিই ঘোর শ্রাবণের অবিশ্রান্ত ধারা হঠাৎ আটকে দিয়ে
                একপশলা মেঘভাঙা রোদের পরশ ছুঁইয়ে
দিয়েছি তোমার গায়ে – আর তাতেই কী
                            তেলেবেগুনে  জ্বলে উঠলে তুমি
মেঘে মেঘে ছাওয়া দিনগুলোতে তুমিও মেঘের মতো
মুখ গোমড়া থাকো ভেবেই  উছল অরুণের কিরণ দিয়ে
                    তোমাকে চাইলাম একটুখানি প্রফুল্ল করতে
আচ্ছা তোমরাই বলোতো, অঝোর বরষায়
                          একফালি রোদ ডেকে এনে
                          কী এমন ভুল করেছি আমি

আমিই শরতের সকালবেলায় বৃষ্টিভেজা আকাশ জুড়ে
রঙধনু এঁকেছি - এই অজুহাতে গটগটিয়ে
                         চলে গেলে খানাখন্দ পেরিয়ে
আমিতো তোমারই মানভাঙাতে
                    এমন রঙের খেলায় মেতে গেলাম
আচ্ছা তোমরাই বলো,  আকাশের বুকে রঙধনু
                            আঁকা কি কোন গর্হিত কাজ

এরপর হেমন্ত যায়, শীতও গেলো আনমনে
                      এবারে দোরগোড়ায় বসন্ত আসি আসি
আকাশ থেকে রঙধনু দিলাম মুছে, বরষার আঁচল দিলাম গুটিয়ে
রোদ্দুরের তপ্ততাকে দিলাম মেদুর করে –
                             তবুও তোমার ফেরার নাম নেই
আমার কি আর মেঘদূত আছে বলো, তোমাকে কী করে জানাবো আমি
তোমার অপেক্ষায় থেকে থেকে আমার শরীর জুড়েই
এখন রঙধনুর বিপুল মায়া, মেঘমালার বিভা ও তপ্ত রোদ্দুরের উষ্ণতা
                              অহর্নিশ ছায়ার মতোই ঘিরে থাকে --

কবে আসবে তুমি !