<><><><><><><>
নিরুপম, তুই কোথায় থাকিস এখন
তোর ঠিকানাটা
               যে আমায় দিলি না
কী করে যাবো বলতো তোর বাড়ী
    যে তুই আমায় ছাড়া পার্টির
                ক্লাশেও যেতিস না
আমাকে ছাড়া খেতেই চাইতিস না
আমাকে ছাড়া তোর পড়াও জমতো না
কি করিস এখন খাবার সময় হলে
           জানতে ভারী ইচ্ছে করে
পড়ার পাট তো ঊঠেই গেছে জানি,
    পার্টির ক্লাশও হয় না আর নিশ্চিত
      তোর সময় কই এখন আর –
   তুই তো এখন অনেক বড়
                  নেতা’ রে -শালা-ন্যাতা।

তোর মাকে আমি মাসী ডাকতাম ঠিকই
          আসলে তো তিনি আমারও মা’ই
আমাকে তিনি কখনো তোর থেকে
                 আলাদা করে দেখেন নি –
বলতেনও সারাক্ষণ আমি
                   তাঁর আরেকটা ছেলে
সেই মাকে নিয়ে ওরা কত নির্যাতন করল
           আমাদের খবর পাওয়ার জন্যে,
কিন্তু একটি শব্দও বের হয়নি তাঁর
           ভাঙা চোয়ালের ওপার থেকে –
দু’দিন পর লাশ ফেলে গিয়েছিল
                            বাড়ির উঠোনে

সে রাতের অপারেশনে আমরা ঠিকই
প্ল্যানমাফিক তিন বুর্জোয়ার লাশই
                     নামিয়ে দিয়েছিলাম –
তারপরই ছিটকে গেলাম দুজনে –
                তুই রাণাঘাটে-আমি ----
পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে পড়ে রইলেম
     উত্তরপাড়ার স্কুলের ধারে নালার পাশে –
তুই ঠিকই করেছিস পালিয়ে গিয়ে –
আমার সাথে থাকলে তুইও ঠিকই
                          লাশ হয়ে যেতিস
আমাদেরতো কথা ছিলরে নিরুপম
কিছুতেই মুখ খুলবি না –তুই কিনা
শেষে রাজসাক্ষীই হয়ে গেলিরে শালা !

আখেরতো গুছিয়ে নিয়েছিস ভালই
      থাক’রে শালা তুই ভাল থাক
আমি শুধু আকাশের এপার হতে
    চেয়ে চেয়ে দেখবো
          তুই কত ভাল থাকিস
              কত ভাল থাকতে পারিস ।।
ঁঁঁঁঁঁঁঁ          <><><><><><><>