<><><><><><><><><><>


ভোরের কুয়াশায় দিগন্ত জুড়ে এক মায়াবী সন্মোহন
ঘুমভাঙা চোখে নগ্ন পায়ে কানে বাজে কার আবাহন
চুপচাপ আসি ছোট্টবেলার সেই আদুরী নদীটির তীরে
কতদিন দেখিনি তাকে, কতদিন নামিনি তার গভীরে

কতদিন ঘুমচোখে স্বপ্নমাখা বিভাসে সে এসেছে ধীরে
আমার সেই কৈশোরবেলার দূরন্তদিনের স্মৃতিটুকু ফিরে
জীবনের টানে ভেসে যাই নিয়ত কত নগর শহর প্রান্তে
তবুও বুকের ভেতরে কেনো যে সে জেগে থাকে একান্তে

পলকে পলকে সে এসে দাঁড়ায় করে দেয় উন্মন আনমনা
কত দাপাদাপি তার শরীর জুড়ে হাজার রকম দূরন্তপনা
ঊষার অপূর্ব্ব আলোয় দেখি তারে আজ কতদিনের পরে
একী রূপ তার, যৌবনোন্মত্তা নদীকেও কি বার্ধক্যে ধরে

হতবাক হয়ে আসি তার পায়ের কাছে, হাতে নেই স্তব্ধজল
আদুরী আমার স্বপ্নের রাণী কতবার যে তোর ছুয়েঁছি অতল !!


<><><><><><><><><><>
দ্রঃ
বাঁকখালি ছিপছিপে তরুণীর মত ছোট্ট এক নদীর নাম,
শরীর জুড়ে তার অসংখ্য উতল বাঁক,
সেই নদীর সাথেই বেড়ে ওঠা, শৈশবের প্রাণের সখ্যতা ।
সেই নদী আর আগের মত নেই,
কালের কোপে তার রূপ আজ যেন
শতবর্ষীয়া বৃদ্ধা রমণীর মতই –
এই কবিতা সেই অর্ধমৃত নদীকেই নিয়ে ।।