<><><><><><><><>



কেটেই গেলো তো এ আগুনরঙা জীবন
জীবনের প্রতিক্ষণ অসহ যন্ত্রণার দংশন
কী ভাবে কাটে, কেটেছে, কেউ কী জানে
তবু যে কেন এ মাটি অহর্নিশ এতোই টানে

একাত্তর, সেই পোড়া একাত্তর নিয়েছে সবই
নিয়েছে প্রাণের কুসুম – দুটি যোগ্য সন্তান
নিয়েছে সম্ভ্রম, সিঁথির সিঁদুর, জীবনের সম্মান
চল্লিশটি বছর কেটে গেছে তারপর এমনই

এই মাটিতেই শুয়ে আছে প্রিয় স্বামী সন্তান
উত্তপ্ত পিচঢালা পথে হাঁটেন তাই নগ্ন পায়ে
কাঁধের পরে ভারী একটি ব্যাগে বই ক’খান
নিজেরই লেখা, জীবন চলে বই বিক্রির আয়ে

অযাচিত করুণা ও সহানুভূতি বাধে বড় বুকে
তার চেয়ে এই ভালো দিন কাটে আপন দুঃখে
চল্লিশটি বছর পরে পোশাকী মায়ায় ঝালাপালা
বীরাঙ্গণা পুরস্কারে কী হয়, বাড়ায় দ্বিগুণ জ্বালা

একমনে হেঁটে যান নগ্নপদে একাত্তরের দীপ্তনারী
প্রণাম জানাই তোমায় মাগো শ্রীমতী রমা চৌধুরী ।


<><><><><><><><><>


দ্র : ২৫ মার্চ - সেই ভয়াল কালো রাতের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলাম চট্টগ্রামের কিংবদন্তী পরমশ্রদ্ধেয়া শ্রীমতী রমা চৌধুরী'র্র বিগত ৪৩ বছরের সীমাহীন ত্যাগের
উপর ভিত্তি করে রচিত এ কবিতাটির মাধ্যমে ।। যিনি শত অনটনেও কারো মুখাপেক্ষী হননি,
এমনকি, বাংলাদেশের স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর সাহায্যের প্রস্তাবও তিনি সবিনয়ে প্রত্যাখান করেছেন !!