সেই কোন রাতভোরে হাঁটা শুরু করেছি
পথের ঢালুতে কতবার পড়তে পড়তে
                                উঠে দাঁড়িয়েছি
পথে ক'বার চাঁদ এসে
                          কোলাকুলি করে গেছে
একটা লক্ষী পেঁচাও চারিদিকে
                  পাক খেয়ে কী যেন বলে গেছে
চোখেও আর ভাল দেখি না ছাই -
রোদ আর চাঁদের আলোর ফারাক
                      শুধু উত্তাপে টের পাই


কত মানুষের কাছে জেনেছি
                          জীবনের মর্মকথা
আলগোছে বুকে করে
                      নেমে গেছি পথে চুপিসাড়ে
মনে মন লেগে বুকের গহীনে
                        উষ্ণ মধুর আবিলতা
গোপনে লালিত স্বপ্নে হই
                      স্থিরবৃক্ষ ফল্গু নদীর পাড়ে


হাঁটা কখনো শেষ হয় না,
                           পথও থামে না কোন যাত্রায়
ভাদ্রপূর্ণিমার সন্ধ্যেয় গঙ্গাজলে মাটির প্রদীপ
                                   নিরুদ্দেশে ভেসে যায়
ভাবের ঘোরের মাঝে গঙ্গা ফল্গু একাকার
দুদিনের এই ভবের খেলায় কে আসলে কার
চোখের আলোর সাথে দিনের আলো মরে যায়
গহীন অন্ধকারে ডুবে যায় চরাচর -
                          নাই কেঊ কোথাও নাই ।