বিষন্ন বিকেলের পিঠ আমূল ভিজিয়ে দিয়ে
ঝরঝর অঝোর ধারায় নেমে এলে শ্রাবণ ধারা
বিবর্ণ ভাবনার শেকড় শরীর চুঁইয়ে যায় বয়ে
বরষার অনুরূপ ভঙ্গিতে নিভৃতে নীরব অশ্রুধারা


বরষার জলে উষ্ণ মাটির বুকে শীতল পরশ
মহীরুহ খুঁজে পায় অকিঞ্চিত প্রাণের রস
মধুর শীতল সমীরণ বহে মৃদু ঝিরিঝিরি
অশ্রুতে ভাসানো তবে সে কোন আগ্নেয়গিরি


বরষা ভরসা দিলে সজীবতা মিলেই যদি
বুকের গহীনে পোষা কী এমন দুঃখ নিরবধি
সময়ের উপত্যাকায় চোখের জলের সাগর
মরমে দেবে কী এনে পরম সুখের আখর


মেঘে মেঘে সুপ্ত উন্মন বরষার বাদল ধারা
চোখের গহন তীরে হোক তবে সে আপনহারা ।।