-----------------
কবিতার চরণে গলা মেলাতে মেলাতে অন্তহীন
কখন যে ভাব হয়ে গেল গলায় গলায়
দুজনের কেউই বোঝে নি, দুরন্ত সে সব দিন
মধ্যাহ্নের শরীর থেকে আগুন ছিনিয়ে
বাতাসে বাতাসে ছড়িয়ে দিতো ওরা
পূর্ণিমার চাঁদের গায়ে চাদর বিছিয়ে
ওরা সবার চোখে এঁকেছিল গভীর বিস্ময়
এই মর্ত্যেই স্বর্গ রচনা এমন কঠিন কোন বিষয় নয় ।
জোনাকীর গায়ে গায়ে সুরের মায়াকেলি
ওরা রাতের অন্ধকারে
                       এনেছিল স্বপ্নের কুহেলি ।


শুধু ভালবাসায় মন মাখিয়ে দিতে জানলেই
মধুরতম জীবনের পাঠ অনায়াসে এসে হাতের পাতায়
আত্মানন্দে বিভোর মৌমাছির মতই তিরতির নেচে যায় ।
যে ঝিরঝির আনন্দদীঘি লুকোনো ঐ মনের গহীনে
তার সন্ধান শুধু সেইই পায় - মন যার ভরে থাকে
                                  আনন্দ মধুর ভালবাসায় ।
ওরাও ভেবেছিল, মিলেছে বুঝি সেই আনন্দ সুন্দর
মেঘে মেঘে অকস্মাৎ উন্মাতাল উন্মত্ত ঝড়
বজ্রে বিদ্যুতে মহাপ্রলয়ের তিমিরে দিলো যে ঢেকে
দূর পাহাড়ের ঝর্ণার তীরে একেলা সারস হেঁটে যায়
আকাশে আকাশে অনন্ত বিরহের ছবি এঁকে এঁকে
বুকের দীঘিতে এইবেলা জলের চিহ্নটুকুও নাই ।


কোন সে সাগর পাড়ে কার হাতে রেখে ঘাতক হাত
সুনন্দিতা, তুমি বসন্তের চোখে চোখে আঁকছ বিষাদ !


                             ----০----