আমি বিশ্বাসের কাছাকাছি অথচ কয়েক জন্ম দুরে অবস্থান করি ঈশ্বর থেকে,
এটি রাতের তারা দেখার মতো,
আমি তারা দেখি,
সে আলোকবর্ষ দুরে হতে পারে,
আমি একটি জনমে তার দুরত্ব মাপি,
কিন্তু যদি তা হয় কয়েক জনমের?
এটা এমন দুরত্ব, আমার মস্তিষ্কে যা অসঙ্গায়ীত।
আমি ফুল ফুটতে দেখি, আমি তার ঝরে পড়া দেখি।
মনূষ্যত্বের দরিদ্রতা দেখি, দেখি শিশুর মমত্ববোধ।
ঈশ্বর নিয়ন্ত্রন করেন পবিত্র গ্যাব্রিয়েলের স্বজাতিদের,
নিয়ন্ত্রন করেন লুসিফারের সন্তানদের।
আমি দেখি জীবন তেমনি মৃত্যু,
ভালোবাসা আর ঘৃনা।
যে পাতায় দেখি পাপ, উল্টো পাতায় পূণ্য।
আমি বিশ্বাসের কাছাকাছি অথচ কয়েক জন্ম দুরে অবস্থান করি ঈশ্বর থেকে।
তার কখনো প্রতিপক্ষ নেই যিনি ভালো খারাপ উভয়ের স্রষ্টা।
আমি পৃথিবীর জ্বলে ওঠা দেখি,
আমি কালের বিবর্তন দেখি,
দেখি পক্ষ দেখি বিপক্ষ,
অনুভব করি পবিত্র অনুভূতির,
জ্বলে উঠি হিংস্রতায়।
আমি দৃশ্যমান স্বাধীনতায় গা ভাসাই কোন অদৃশ্য পরাধীনতার শৃঙ্খলে।
আমি খুঁজে ফিরি নিজেকে, আমার লক্ষকে, উদ্দেশ্য আর অদৃশ্যকে।
ঈশ্বর নিয়ন্ত্রন করেন পবিত্র গ্যাব্রিয়েলের স্বজাতিদের,
নিয়ন্ত্রন করেন লুসিফারের সন্তানদের,
তিনি নিয়ন্ত্রন করেন ভাগ্য, জন্ম আর মৃত্যু।
আমি বিশ্বাস থেকে দুরে থাকতে পারিনা,
অবশ্যই না এবং অবশ্যই না।
আমি শুধু এ সত্যটাই জানি,
ভালো-খারাপ এবং ঈশ্বর নিয়ন্ত্রন করেন শয়তানকে যেখানে শয়তান শূন্য আর বাধ্য ঈশ্বরের আদেশের সামনে,
সেটা ভ্রম কিংবা সীমাবদ্ধতা নয়, সে বাধ্য এবং ছুটে চলা আমার পিছে।
আর আমি?
এক অসাধারন বেকুব, অসঙ্গায়ীত রহস্য, সীমাবদ্ধতায় কোন খেলার পুতুল।