পা দিয়ে পথকে ঠেলে ঠেলে এগুই সামনে,
মাঝরাতে উদোম দেহে লাগাই
দুরন্ত বৃষ্টির ছটা;
আলোর ঝলকানিতে যেনবা
জ্বলে ওঠে সদ্য ফোটা সাদাফুল
ছলাৎ কাদা হতে লাফিয়ে যাওয়া
কুনোব্যাঙের মতো চুপিচুপি নির্জনে
ভিজে যাই একা;
যেন এই পৃথিবীতে কেউ জেগে নেই
আমি আর আলোর ঈশ্বর।
পৃথিবীর সব আলো নিভে গেলে
তবু ভাবি সেই সে জোনাক জ্বলা রাত
ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ;
ভৌতিক ভয়ের মতো শূন্যতা
একাকী গাঙপাড়ে দুলে ওঠা আসামি নৌকো
শীতের হিমের মত ফেনিল ঢেউ
যেনবা অঙ্গে অঙ্গে চোখ থেকে চোখে
হচ্ছে প্রবাহিত;
একদিন ঘাসফুল ফুটলে আমিও পৌঁছে যাব
সেই শীতল গাঙের কাছাকাছি।