বিশ্বের সব যুদ্ধ বিধ্বস্ত নিপীড়িত মানুষের জন্য নিবেদিত


এ যুদ্ধ কিসের? কেন?
কার জন্যে?
এ যুদ্ধ কিসের?
হিংসার, ক্ষুধার নাকি অস্তিত্বের
কেন? কেন?
এ যুদ্ধ কিসের?
রুটি,রুজি নাকি রক্তের
স্বাধীন হু স্বাধীন
কে বলে আমরা স্বাধীন
আমারতো রক্তে বয়ে বেড়াই
শত কোটি জারজ বীজ
লালসার ছাইদানিতে
পুড়ে গেছে স্বাধীন পতাকা,
আমরা পড়ে পড়ে মার খাই
স্বাধীনতার সিম্ফন ছড়াই সোনালী রক্তে
কিসের তোমার ভাষা,
কিসের তোমার অস্তিত্ব
তুমিতো পুড়ে শুদ্ধ হতে পারনি
তোমার হাতেই মৃত্যু হবে
তোমার ভাইয়ের, মায়ের, বাবার কিংবা বোনের
তুমি পার, তোমরা পার
ক্ষমতার উগ্র মিছিল বহাতে
সেই সে যুবক, ছাত্র, রিকশাওয়ালা,
জওয়ান, শিশুর নিস্তেজ চোখে দেখেছি
আমি পতাকার রক্তিম আভা,
তাদের স্বজনের কান্নার শব্দ
আমাকে মনে করিয়ে দেয়
মৃত্যুর সফেদ বস্ত্রে ঢাকা
কতগুলো মুখের আর্তনাদ,
মনে করিয়ে দেয়
আমার ভাষা ও অস্তিত্বের যুদ্ধকাল,
আমরা কার কাছে যাব মা,
তোমার কোলে বাস করে
নিরাপদ বাঘ,
আমরা কার কাছে যাব
ঐ সূর্যটাকে ঘিরে আছে
লালসার মেঘ,
মেঘগুলিকে এখুনি সরাতে হবে;
মেনে রেখ আমরাই সূর্যের অধিপতি
মনে রেখ ইতিহাস,
মনে রেখ রাজপথ
আমরাইতো তোমাদের মাড়িয়ে লিখেছিলাম
স্বাধীনতার কবিতা,
শুকনো পাতার মর্মর শব্দে
জানি একদিন সন্ধ্যা আসবে নেমে
আধো আলো, আধো ছায়ায়
তোমার সুহাস্য মুখখানি
দেখতে চাই মা,
পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে
ঢেকে যাক সব অশনি শব্দ,
ঢেকে যাক রক্তের দাগ।
মা, আমরা আছি
এখনো আছি
এ আকাশ আমাদের
এ সূর্য আমাদের।