হে অভাগা দেশ আমার
এত অন্যায়, অসত্য, ত্রাস, নৈরাজ্যকে
বুকে নিয়ে আছো ঠায় দাঁড়িয়ে
সবুজ-শ্যামল বুক পেতে।
একটি একটি করে পাখিগুলো সব
হচ্ছে আকাশ শূন্য তবুও তুমি
দেখো আগামীর উদার স্বপন।


তোমারতো ছিল পাহাড়চুম্বী ঝাউ
অশথের বন, ছিলো দিগন্তজোড়া
সবুজের ঘুড়ি, সে ঘুড়ি কেটে গেছে
সর্বভূক দৈত্য এক নিয়ে গ্যাছে
তার উদাত্ত চঞ্চলতা।


তবুও তুমি আছো ঠায় দাঁড়িয়ে
দুধেল গাইয়ের মত
একবুক নোনা শান্তি চেপে।
সেই কবেকার কোন শিশির ঝড়ের শেষে
পেয়েছিলাম তোমায় আরক্তিম শূন্যতায়;
ঘুঙুরের শব্দের মতো দুলে ওঠা
শর্ষের ক্ষেত; হলুদে হলুদ মেখে
তোমার হয়েছিলো নতুন জনম।


অতঃপর তোমারই বুকের মাংস কেটে
তোমার অবোধ বালকেরা
করে রচনা ঘৃণিত গণতন্ত্র।


তবুও তুমি কেমন শুভ্র হাসি নিয়ে
উড়িয়ে যাও প্রাণের  নিশান।
তোমার এ হাসি কি তবে
পরাজয়ের নাকি ধ্বংসের
একবার বলে যাও মা,
হে হতভাগা বাংলা আমার।