একলা হওয়ার মতো
অথবা, ভর দুপুরে থমকে থাকা দুপুরবেলার মতো
নৈঃশব্দের ভিতরেও কিছু শব্দ থাকে; থাকে নদী,
                          পাহাড়, ঝর্ণা বা মরুভূমি।
কবিকে সেইসব নৈঃশব্দের কথা
বলে যেতে হয়।                                            


শব্দের তুচ্ছতায়
বৌদ্ধ মন্দিরে দেখি রঙিন নিশান ওড়ে।
অনুচ্চারিত বর্ণমালা নিয়ে
বিদ্ধস্ত পুরোনো রাজবাড়ির পাশে
শুয়ে থাকে স্তব্ধ জনপদ।
সংগোপনে ফুল ফোটার মতো
অথবা, বারান্দায় এলিয়ে পড়া বিকেলবেলার মতো
নৈঃশব্দের ভিতরেও কিছু শব্দ থাকে; থাকে হাসি,
                                      কান্না, ইতিহাস।
কবিকে সেইসব নৈঃশব্দের ভাষা
বুঝে নিতে হয়।
                                                                
মুখর দিনের পরে নিভৃত রাত্রিতে
আমাদের নির্বাক মুহূর্তগুলি
নৈঃশব্দের অরণ্যে নিবিষ্ট গাভীর মতো চরে।
তারও পরে, সকলেই একদিন
পৃথিবীর তাবৎ মহৎ দৃশ্যের মতো
শব্দহীন হেঁটে যায়
অজানা প্রান্তরে।


কবিকে, সেইসব নৈঃশব্দের ছবি
এঁকে যেতে হয়।