ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার!
অথচ কচ্ছপকে দেখ
নিধিরাম সর্দার না হয়েও দিব্যি একখান
ঢাল নিয়ে নেমে পড়েছে মাঠে
(থুড়ি,তার আবার তলোয়ারও নেই)


যেই দেখলো শত্র্রুপক্ষ অমনি ঢুকে পড়লো
নিশ্চিত আ্শ্রয়ে, প্রায় মায়ের কোলেই বলতে পারো
তলোয়ারের আর দরকার কি!


সাপকে দিয়েছো বিধাতঃ একখান ফোঁস
অন্তরে বিষ যাকে তুমি জেনে-শুনেও
পান করতে পারো, না জেনে শুনেও
বাঘ-সিংহ তো বটেই এমনকি যে শজারু
তাকেও দিয়েছো গা-ভর্তি কাঁটা
ব্যস, কেউ ঘেঁসতে পারবে না
অথচ ভগবান আমাদের এমন নিরস্ত্রীকরণ কেন


এই যে সারা বনে ছেড়ে রেখেছ জন্ত-জানোয়ার
যাদের বশ মানাতে সমাজে
বাঘ-সিংহরাও বছর-বছর ফেল করছে
তাদের থেকে কেমনে বল মুক্তি পাওয়া যায়


অবশ্য একেবারে কিছুই যে দাওনি
তাই বা বলি কী করে
দিয়েছো একখানি ব্রেণ—যা কখনো কাজ করে
কখনো কাজ না করে অকাজ কিম্বা কু-কাজ করে
সেই ব্রেণটা আজকাল হয়ে যাচ্ছে
“মানি-মাইন্ডেড”, একখানি যন্ত্র দেহের খোরাক মেটাবার


বিধাতঃ পরের বিবর্তনবাদের আগে
জরুরী বৈঠকের ডাক দিয়ো যেন--