সর্বসমেত তেতাল্লিশটা পাতা ছিঁড়েছি
     তবু একটা কবিতা লেখা হল না
    সাতাশটা অচল পয়সা ভিজে সারা হল
    তবু পতাকা উড়ল না রাতের আলোয়
    ক্যাঁও করে বেড়ালটা শব্দ করে উঠল
     বিকৃত সুরে,তবু রাজবাড়ির ঘন্টা এখনও বাজল না


    উদ্যানে কাটা গোলাপ,কেউ তুলে নিতে আসে নি
    কিন্তু দত্তবাড়ির খুবলে খাওয়া আপেলগুলি
     যখন নিলামে বিক্রি হল,সেদিন ভিড় সামলাতে
     পঞ্চায়েত ডাকা হয়েছিল


     আজো আমার চোখে ভাসে
    হলদে শাড়ীর প্রেমে অলকাদির পাঁশুটে হয়ে যাওয়া
     চোখের আলো,কী রকম লোভী চোখে
     তাকিয়ে থাকত অলকাদি,আস্তে আস্তে সরে যেতে যেতে
     একদিন প্রেম-সায়রে ভাসলো তার দেহ
     রক্তে মাখামাখি


    মৃত্যুর পর কী যে হবে কেউ কি জানতে পারে?
    আমি এখনও কবিতা লেখার চেষ্টা করে চলেছি
    অচল পয়সা নিয়ে এখনও এদোরে সে দোরে
    হলদে শাড়ী দেখলেই এখনও দীর্ঘশ্বাস ফেলে যাই
   ইন্দ্রিয়বিলাসী লোক দেখলেই এখনও মনে পড়ে
     অলকাদির ছেঁড়াখোঁড়া দেহ


    শুধু যখন অন্ধকার নেমে আসে
   মৃত্যুকে চিনে নেব বলে যখন
   আমার তের পাওয়ারের চশমাটা
   প্রাণপণে চেপে ধরি কপালের নীচে
   কে যেন পাশ থেকে ফিসফিস করে বলে ওঠে
    ' খুলে ফেল্ ওটা,একখুনি সকাল হল বলে'----