ছন্দ নিয়ে আবোল তাবোল তোমার মত লিখত কে,
তোমার মত সহজ ভাবে শিশুর সাথে মিশত কে।
পাগলাদাশুর কীর্তি কলাপ হাসির খোরাক মন ভোলায়,
বোম্বাগড়ের রাজার সাথে কুমড়োপটাশ নাচতে চায়।
যেইনা হঠাৎ রামগরুড়ের বন্ধু হল ট্যাঁশগরু,
লুটিয়ে পড়ে হিজবিজবিজ হাসির ফোয়ারা হল শুরু।
হেড অফিসের বড়বাবু গোঁফের কিন্তু হদিশ চান,
ভীষ্মলোচন পাড়ার ক্লাবে উদ্বোধনী গান শোনান।
কাতুকুতু বুড়োর সাথে মিটিং ডাকে কাকেশ্বর,
হুঁকোমুখো হ্যাংলা সেথায় নিমন্ত্রিত ভিজিটর।
লক্ষ্মণের শক্তিশেলে নায়ক হবেই জাম্বুবান,
ইচ্ছেটি তার ষোল আনা বেড়াল এসে জানিয়ে যান।
বেড়াল বল রুমাল বল নামে কিইবা আসে যায়,
বয়স কিন্তু কমতে পারে মনটা যদি সবুজ হয়।
গেছো দাদা কোথায় থাকেন জানতে তুমি পারলে কি?
এ প্রশ্নটা নোটবইতে লিখে তুমি রাখলে কি?
খুড়োর কলে জং ধরেছে তাইতো ওনার মন খারাপ,
এসেন্স শুঁকে বেজায় কাশি খাচ্ছে নাজির কাফ সিরাপ।
পথিক এবার জলের খোঁজে যাবে নাকি ভিনগ্রহ,
খবর পেলাম বকচ্ছপ আর হাতিমিদের বিদ্রোহ।
কর্পোরেশন ইলেকশনে প্রার্থী হবে গঙ্গারাম,
দ্রিঘাংচুকে জিগাও দেখি কতটা হবে সহজ কাম।
ষষ্ঠিচরণ ডায়েট করেন এটাই নাকি হাল-ফ্যাশন,
বোম্বে গিয়ে তিনি হঠাৎ মডেলিং-এ নাম লেখান।
চরিত্ররা কেমন আছে তোমায় খবর দিলাম সবার,
ধন্য তুমি সৃষ্টিকর্তা, প্রণাম তোমায় সুকুমার।