বারবার পাথরে আঘাত করে যাচ্ছি,
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত হয় পাহাড়ের কোলে,
এক.. দুই.. তিন.. এমনি করে কত বছর কাটে -
তার হিসেবে গরমিল হয়ে যায়,
তবুও ছেনি হাতুড়ির ক্লান্তি আসে না।
নির্দয় ওরা, হয়তো বা আমিও।
পাথরের ক্ষয় হয়, আমার নয়।
এখনো ভগবানের জন্ম দিতে পারিনি আমি,
রাজার আদেশে পাহাড় কেটে জন্ম নেবেন ভগবান বিষ্ণু,
রাজপুরোহিত প্রাণসঞ্চার করবেন গগনভেদী মন্ত্রোচ্চারণে,
অগণিত ভক্ত যুগযুগ ধরে নতমস্তকে দাঁড়াবে আমার সৃষ্টির সামনে,
আর আমি অন্তরালে থেকে তিলে তিলে তৈরি করে যাব আমার সৃষ্টিকে,
ঠিক যেমন করে সৃষ্টিকর্তা তৈরী করেছেন এই জগতসংসার।


ওরা কারা ছুটে আসছে গিরিপ্রান্তরে?
ধর্মের পতাকা উড়ছে ওদের হাতে -
ধর্মরক্ষার সংকল্প নিয়ে ওরা ভেঙেছে বুদ্ধমূর্তি বামিয়ানে,
ধর্মরক্ষার তাগিদে ধ্বংস করেছে বাবরী মসজিদ,
ধর্মরক্ষার নেশায় দিকে দিকে জ্বলেছে আগুন,
মন্দিরে, মসজিদে, গীর্জায়।
তবে মনুষ্যত্বের অবনমন দেখেও মানুষ সৃষ্টিতে কার্পন্য করেননি সৃষ্টিকর্তা,
একজন মানুষের প্রতিবাদের স্বর ছাপিয়ে যেতে পারে লক্ষ ধর্মোন্মাদের রণহুঙ্কার।
সৃষ্টিকে কলঙ্কিত করা যায়, স্রষ্টার চেতনাকে নয়।


সায়নদীপ