তুমি এলে এ বদ্ধ জীবনে এক ঝলক হাওয়ার মত,
মরুভূমিতে তৃষ্ণার্ত পথিকের এক পশলা বৃষ্টি হয়ে।
গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত যে প্রাণ,
তাকে দিলে আলোর এক রাজ্যে উপহার।
রংছটা রঙে ডুবে থাকতে বাধ্য হচ্ছিল যে জন,
তাকে দিলে রঙের ভুবন।
এক সমুদ্র জলেও নীরশুন্যতায় ভুগছিল যে প্রাণ,
তাকে দিলে জীবনের দিশা।
হঠাৎ করে, খুব হঠাৎ করে এলে তুমি,
যেখানে আমি  চাইনি তোমায়।
ঠিক যেভাবে রংধনু আসে আকাশে,
না চাইতেই রাঙিয়ে দেয় হাজারো আবেশে।


আজ তুমি আমি চোখাচোখি হবো দ্বিতীয়বারের মত,
সকাল থেকে স্নায়ু গুলো যেন যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে,
কাঁজলে খুব একটা অভ্যস্ত নই যে চোখ জোড়া,
তাও আজ কাঁজলে সাজবে বলে বায়না করছে,
কি জানি তোমার চোখে চোখ রাখবে বলে হয়তো।
শুভ্র শাড়িটাও,
আজ অনেক দিন পর ভাঁজ ভাঙতে চাইল।
ললাট সাজলো ছোট্ট টিপে।
তোমার সাথে দেখা বলে কথা,
সেই অনেক সাধনার তুমি আমার।
মাথার কালো কেশগুলোও,
আজ খোঁপায় সাঁজতে চাইছে।
খোঁপায় জড়ালাম কদম,
আর হৃদয়ে জড়ানো তুমি।
খোঁপা আর হৃদয়ের নীড়ে,
শক্তভাবে আবদ্ধ তুমি।


ত্রিশ মিনিট ঠিক ত্রিশ মিনিট পর,
তুমি আমি মুখোমুখি!
হৃদস্পন্দন যেন বাদ ভাঙতে চাইছে,
যেন স্পন্দনের মাএা ছাড়াতে চাইছে।
নিশ্চিত, এ প্রথম এমনটা।
শরীরের প্রতিটা রক্তবিন্দু,
কেপে কেপে উঠছে প্রতি সেকেন্ডে,
শতবার করে।
তোমার চোখ,তোমার চাহনি যেন খুনি!
আমি খুন হচ্ছি প্রতিনিয়ত।
চোখের এত আবেগ,এত সহজতা,
কোত্থেকে ধার করেছ?
জানতে চাইব চাইব এমন সময়!


হঠাৎ তুমি আমি আকাশপানে,
রৌদ্রজ্জল দিনই ছিল,হঠাৎ আবহ পরিবর্তন
তুমি বললে-ভালই হলো,
তোমার তো বৃষ্টি খুব পছন্দ।
ঠোঁটের কোণে হাসি ছুঁইয়ে বললাম,
আমার বৃষ্টি পছন্দ ঝড় নয়তো !
তুমি আমি চোখাচোখি হঠাৎ,
দমকা বাতাসে,
খোঁপার কদম আছড়ে পড়ল মাটিতে।
একি হল !
আমি খুজছি কদমগুচ্ছ
বসে পড়লাম, খুজতে থাকলাম উম্মাদের মত।
পেলাম নাহ,কোথাও নাহ,
হঠাৎ হৃদয়ে তাকিয়ে দেখি
নেই,তুমি নেই হৃদয়ে, হ্যা নেই
যে হৃদয়ের বিচরণ ছিল,
এ- হৃদয়ের প্রতিটা আনাচে- কানাচে।
সে হৃদয় আজ তোমার অস্তিত্ব অস্বীকার করছে,
যে হৃদয় তোমারি আরাধনা করত প্রতিনিয়ত,
হাজারো ব্যস্ততায় সে হৃদয় আজ তোমার নয়,
তোমারি কর্মফলে।
হুম "আজ তোমার শুভ মুক্তি"
আমি মুক্তি দিলাম তোমায়
এত সব মুক্তির আয়োজনে
আজ তুমি মুক্ত।


অন্তিম উপহার হিসেবে নিও ,
মার্জনা আর কৃতজ্ঞতা।
সবকিছুর জন্য
ভাল থেকো।
বিদায়-চিরবিদায়।