হৃদয়ে ফুফু
– তাহের আজিম
বড় আব্বা ডাকতেন হলুদ পাখি
আর দাদী ডাকতেন অনিন্দ্য সুন্দরী
আরো কত প্রশংসার উপমা পেয়েছিলেন
মাজেদা ফুফু আমার।
বড় দু ভাই আর মা বাবার
আদরের নয়নমণি ছিলেন তিনি।
সৌন্দর্য আর দুরন্তপনা দিয়েই
সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন যিনি।
ভোরবেলা থেকে সারাটা দিন
এক মুহূর্তের জন্যও মুখটা হতো না মলিন
নজর কাড়ত মুক্তা খচিত হাসি।
কিন্তু কৈশোর কালেই ঘটেছিল এমন একটি দুর্ঘটনা
মহল্লার সবারই তা স্পষ্ট করেই জানা।
কোনো এক কাকা ডাকা দুপুরে
নাপিত নরেন ঠাকুরের চিৎকারে
পূর্ব পাড়ার সব লোকজন এলো বেরিয়ে
কী হয়েছে নরেন!
নরেন বললো পুকুর পাড়ে চলেন।
পুকুর পাড়ে গেল সবাই
দেখলো মাজেদা ফুফুর নিথর দেহখানা
একদম পুকুরের ধারে এসে ঠেকেছে।
মাজেদা ফুফুর বাম হাতের সাথে
তখনো ডাবগাছের পাতাওয়ালা ডাল স্পর্শিত।
সূর্যের আলোয় মাজেদা ফুফুর দেহখানা উদ্ভাসিত
নেই কোনো চপলতা,দুরন্তপনা কিম্বা উচ্ছ্বাস।