দূরের ঐ আকাশে দৃষ্টি মেলো . কত সুন্দর !
তাতে পাখিদের উড়োউড়ি,মেঘের ভেসে চলা।
আর মেঘলা দিনে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির পর
  চোখের কোণে আটকে পড়া রঙধনু..
তা আকাশটাকে আরো সুন্দর করে তো্লে ,তাই না!!


কখনো গুমোট মেঘে ভারী হয়.
  সৌন্দর্য কিন্তু তখনো কমে যায়না।


তবে যখন নিশির কোলে ঢলে পড়ে
  আঁধারে ছেয়ে যায় পুরো আকাশটা,
চোখের পাতায় প্রোথিত হয় সকল সৌন্দর্য
নিকষ পর্দার আড়ালে মিলিয়ে যায় তার বিশালতা।


কিন্তু সে আকাশে আঁধার চাদর ফুড়ে
  যদি উঁকি দেয় জোছনা।
তাহলে মুহূর্তেই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে তাবাসসুম ঝিলিক,
রিনরিনে স্বরের তারান্নুমে আন্দোলিত হয় পুষ্প কানন।


সে রাত কলমকে করে নায়াগ্রা
    আর দোয়াতকে করে প্রশান্ত মহাসাগর,
কবির পদতলে উৎসর্গ করে শব্দের সুবিশাল ডালা,
কবিও ছন্দ-আনন্দে গেঁথে যায়.জোছনার গুণ-মালা।


দিনের আকাশের সৌন্দর্য কতজনের লেখায়ই বা উঠে এসেছে ?
খুঁজে দেখো !
   জোছনার স্নিগ্ধতা নিয়ে কত কলম তার কালি শেষ করেছে , আজো করে চলেছে।


তুমি কি জানো ?
  মানুষেরও একটি আকাশ আছে ,
কখনো তাতে মেঘ করে ,কখনো কখনো বর্ষনও হয়,
একটা সময় তা আঁধারে ছেয়ে যায় .
তখন নিয়নবাতির আলোতে আলোকিত করা যায়না এ আকাশ !
  এ যে এক নিষিদ্ধ গগণ!!
শাস্তিযোগ্য তাতে নিয়নবাতির আলোক-প্রজ্জ্বলন ,
এ আঁধার দূরিভূতে প্রয়োজন শুধু নিশি-প্রদীপ ‘জোছনা’


তোমার কাজলটানা দীঘল নয়নজোড়া প্রসারিত করো শ্যামলিমায় ছায়া কোন বাগে.
দেখো !
তাতে ফুটে আছে নাম না জানা কত ফুল ,
শিশির ফোঁটায় ভেঁজা ফুলগুলো কত পবিত্র তাইনা !
পথে বিছানো শিউলীগুলোকে শুদ্ধতার প্রতীক মনে হয়না !!


পুষ্পকেন্দ্রে রঙ-বেরঙের প্রজাপতিগুলোর উড়ে বেড়ানো
অন্তর প্রশান্ত করেনা !!!


জানো !
প্রতিটি মানুষের একটি করে মন-কানন আছে,
সে বাগানে ফুল ফোটে,ঘ্রাণ ছড়ায় .
প্রজাপতিরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ায়.


কখনো ফুল ও পরিচর্যার অভাবে তা শুষ্ক হয়ে যায়,
কখনো আবার পরিণত হয় বিরাণ মরুতে।


সে বাগানে অনে~ক কাঠগোলাপ ই ফুটে ,
কিন্তু কাঠগোলাপ যে কাম্য নয় !
এ বাগানে প্রয়োজন শুধু গোলাপের ।


*
আমার আকাশে নেমেছে ঘণ ঘোর আঁধিয়ার!
পুরো আকাশে ছড়িয়ে পরেছে
      শুধু একটি চাঁদের হাহাকার।


যে চাঁদের স্নিগ্ধ আলোক-পরশ
    সাজাবে আমার জীবন
    রাঙাবে সাজানো ভূবন
হবে চোখের শিতলতা ‘কুররাতু আ’ইয়ুন।


আমার মনবাগ আজ পুষ্পবিরহে কাতর !
পুষ্পবিহনে প্রজাপতি শূন্য কানন,
আর প্রজাপতির অভাবে
মন-উদ্যন
হারিয়েছে
তার প্রাণ
হয়ে আছে নিস্পন্দ।


আচ্ছা !
  তুমি কি আমার আকাশে চাঁদ হয়ে উদিত হবে ?
আমার তারকাগুলো প্রদক্ষিণ করবে তোমায় ঘিরে,
তোমার পাশে থেকে চঞ্চলা করে তুলবে তোমায়
  “শান্তি-শোরের” ভিড়ে।


তুমি কি আমার বাগানে ফুল হয়ে ফুটবে?
আমার প্রজাপতিগুলো আসবে তোমার কোলজুড়ে.
পাপড়ির পেলব পরশে বেড়ে উঠবে ,
হল্লা করে মৃতপ্রায় বাগানকে পরিণত করবে
প্রাণোবন্ত এক গুলশানে।


হবে কি আমার আকাশের চাঁদ আর বাগানের ফুল !!!


_____________
রাত , ০২.৫৫
০৮/১০/২০২১ ইং