*ক্রন্দসী উইলো*


উইলো নামের বৃক্ষ তুমি!
দেখে ভাবি এক জটাজটধারী সন্যাসী! রহিয়াছ বসি’ ধ্যানমগ্ন! গভীর চিন্তায়!


এক অপরুপ শোভা তুমি বসুন্ধরার!
যবে পথ চলা পথিক দাঁড়ায় তব পাশে, হেরিতে সবুজ পত্রে পত্রে ছাওয়া শাখা গুলি তব! যাহা আসিয়াছে নামি! লভিতে সুধা ভরা মায়ার পরশ! মাতৃ মৃত্তিকার!
বিস্ময়ে তারা হয় হতবাক! হেরিয়া হরেক রঙের রুপ মাধুরী তোমার! কখনও হারাও তুমি সবুজের দরিয়ায়! কখনও বা স্নান করো গোলাপীর মায়ায়!


ঢাকে যবে কঠিন হিমে জগত চরাচর।
শ্বেত শুভ্র পক্ক কেশে দেখে সে তোমায়! ভাবে জটাজটধারী বৃদ্ধ বুঝি এক!


কখনও হেরি তোমায় পাহাড়ি উচ্চতায়!
কখনও দাঁড়াও আসি মাটির সমতায়!


কেহ ডাকে উইপিং উইলো! ক্রন্দসী উইলো! কেন এ নামে ডাকে তোমায়?
কেন তুমি ক্রন্দসী? কিবা দুখে কাঁদিতেছ নিশি দিন? কাঁদিতেছ হইয়া আকুল!
কাঁদিতেছ কি তবে কোন অজানা বেদনায়!


ফেলিছে অশ্রু রাশি বুঝি অসীম আকাশ বৃষ্টি ধারা হয়ে! হয়ে সাথী তোমার বেদনার!


ক্রন্দসী উইলো! মুছে নাও অশ্রু রাশি তব, আঁখি পল্লব হতে!
বিলাও তোমার রুপের সুধা!
জগত ব্যাপিয়া!


কান্না ভরা চোখে! হেরিতে নাহি চাই!
হেরিতে চাহি না তোমায় সদাই নয়নের জলে। হাসিতে ভরাও চারি ধার! হেরিতে চাহি সে রুপ! চাহি অপলকে!!


জেনেভা, সুইজারল্যান্ড