শান্ত চোখ -- নিস্তব্ধ হৃদয় নিয়ে দাড়িয়ে আছো
ধুসর দিগন্তের শেষ প্রান্তে।
সেখানে বাতাস তোমার শাড়ির আঁচল
কেঁপে কেঁপে উঠে হলদে ধানের ক্ষেতের মত,
যেখানে তোমার সুবাস নিতে ভীড় জমায়
নানা রঙের রঙীন প্রজাপতি শত।
তারা বারবার তোমার স্নিগ্ধ শরীরে এসে বসে;
নিয়ে রাতের উজ্জল জোনাক পোকা।
অবিনশ্বর তারাও আমার মত থাকতে চায় তোমার কাছে,
অনুনয় ঝরে তাদের রঙিন ডানা ঝাপটিতে।
সূর্যাস্তের কুসুমালো তোমায় আলতো করে ছুঁয়ে
হারিয়ে যায় আবার সমুদ্র তটে,দিয়ে আলোর ধোঁকা।
সেখানে তোমার চুল ভাসিয়ে নেয় তাদের সঙ্গ করে,
বারবার স্নিগ্ধ পরশে বুলায়ে দেয় তার শিতলা হাতে।
রাত তার প্রিয় বস্তু জ্যোৎস্নাকে সোপে দেয় অকপটে।
তোমার কোমল অঙ্গ জুড়ে আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি
গলে গলে জ্যোৎস্না ঝরছে তাতে।
আবার তারা মিলিয়ে যায় তোমার প্রস্থানে সহসা,
শুধু রয়ে যায় তোমার গাঢ় অন্ধকার চুলের নরম সৌরভ।
আমি তা বুক ভরে--- কিছু মুঠো ভরে; মাতাল হয়ে নেই।
আমি শুনতে পাই তোমার মিলিয়ে যাওয়ায়
ঐ প্রকৃতির উচ্চ কলরব।
আমি বারবার নিস্তব্ধ হয়ে যাই বেদনা চেপে বুকে,
আমার নিস্তব্ধতারর মাঝে থেমে থেমে
তোমাকে খুঁজে পাই শুণ্য দু-হাতে!