দূরে কিছু বাতি মিটমিট করে জ্বলছে।
মাঝে মাঝে নিঃশব্দে দুলে উঠছে
নারিকেল গাছের চিকন পাতারা।
ছাদের এক কোনে বসেছিলাম,
তোর জন্য কবিতা লিখবো বলে।
একটা হিম হওয়া জড়িয়ে ধরেছে
ক্ষুধার্ত পাইথনের মত।
হাত গুলো জমে আসছিল,
বড্ড কষ্টে কলম চেপে ধরে বসেছিলাম!
সহস্র ভাবনার সমুদ্রে ডুবে গিয়েও
কোথাও কুল-কিনারা না পেয়ে
সাদা কাগজ রেখেই উঠতে হলো।
চিন্তারা ধিরে ধিরে বিলিন হতে লাগরো কোন এক অজানায়!
তারা জানিয়ে দিয়ে গেল;
তোকে নিয়ে লিখার জন্য শব্দের যে শক্ত গাঁথুনি দরকার,
বর্ণনার অতি নিপুণ যে উষ্ণ অলংকার দরকার,
আর বাক্যের যে পূর্ণ কবি শিল্পের রস দরকার,
তা আমার কাছে মজুদ নেই।
হয়তো আমি শব্দের মজুদদার বা চাষী নই।
শুধু অফুরন্ত ভালোবাসা ছাড়া
তোর জন্য আমার কাছে আর কিছুই নেই!
হৃদয়ে ভালোবাসার লাল গালিচা বিছিয়ে দিব
তুই আলত পায়ে হেঁটে যাবি!
তবুও কবিতা হবেনা তোর জন্য আমাকে দিয়ে!
হয়তো আমি কবি নই বলে!
অথবা কবিতা আমার জন্য নয়!