স্বাধীনতা তুমি আমার লক্ষ ভাইয়ের
প্রাণের তাজা খুনের রক্ত,
স্বাধীনতা তুমি আমার উচ্চকিত প্রাণে
ঢাললে প্রেরণার তপ্ত।


তুমি কেড়ে নিয়েছ হাজারও ভাই
মা-বোনের জীবন,
বিনিময়ে দিয়েছ লাল সবুজের
স্বাধীন পতাকা তেমন।


ছোট্ট একটি সবুজ সীমানায়
তুমি লাল সূর্য,
নয় মাস যুদ্ধে পেয়েছি তোমায়
ধরেছি কতনা ধৈর্য্য।


তুমি আমার কৃষ্ণ চূরায় ফোটা
রক্ত বর্ণ ফুল,
তুমি শহীদের রক্ত সাগরে চির
ঢেউহীন দুটি কুল।


তুমি অমর অভয় অক্ষয়
তুমি ছোট্ট সীমানায় বাধা,
তুমি অগ্নি শিখার মত মানুষের-
প্রতিটি হৃদয়ে গাঁথা।
তুমি রক্ত কণিকার লেলিহিন শিখা,
তুমি শ্যামলে চির -রণ প্রকৃতি আঁকা।


তুমি প্রভাতের লাল সূর্য
আর উড়ে যাওয়া শত মুক্ত পাখি,
তুমি আছ সকাল সাঁঝে
দেখি তোমায় আমি যখন খুলি আঁখি।


তুমি রাখালের বাঁশির সুর
আর সবুজ দিগন্তের মায়া,
হাজারও সন্তান গর্ব করে
পেয়ে তোমার শান্তির ছায়া।
এখনো আসেনি অনেকের ঘরে স্বাধীনতার নূর।
সহস্র মানুষ আজ ধুকে ধুকে মরছে পথে
পায়নি তারা তোমার সুখের সুর।


অনেকে দিন গুনছে
কবে আসবে তুমি তাদের কাছে?
অনেকে আবার তোমার জন্য
বুকে স্বপ্ন বুনে আছে।
তাদের কাছে তুমি যেন এক
মুক্ত নিঃশ্বাসের ন্যায়,
তোমাকে হারিয়ে কান্না বুকে
শীতল কাটা দেয়।


স্বাধীনতা! তোমার প্রতিটি রক্ত ফোটা মিশে আছে
প্রতিটি গ্রামে -গঞ্জে আর প্রতিটি জেলায়।
তুমি ঘুমিয়ে আছ সবুজ সমাহারের বুকে
যেমনি শিশু মায়ার কুলে ঘুমায়।