কে তুমি ----!
তুমি কি সেই –যাকে খুজেছি বহু-- যুগ ধরে ?
বলতে পার, সে---ই সৃষ্টির অনেক—অনেক, অনেক-- আগে থেকে।
সুর্য তখন ছিল অন্ধকারে লুকিয়ে---
তারকারাজির কথা বলবে ! সবাই মিলে একজোট হয়ে চুপটি করে,
মায়ের গহব্বরে বসে ছিল জাঁকিয়ে।  


ছিল না সেদিন—না না দিন নয় হয়তো অন্য কোন নামে ছিল সবার মাঝে—
সেই সময়েও আমি তোমাকেই খুজেছি---
ছিল না ক্লান্তি, ছিল না অবসাদ—ছিল না কোন পিছুটান--
বলবে কি আমায়, তুমি কি সেই !
যাকে খুজে ফিরে নিঃস্ব হয়েছি—ওরা হেসেছে, ছুড়েছে তাচ্ছিল্যের বান- সব নির্দয় পাষান।


দোয়েল ছিলনা, কোয়েল ছিল না, ছিল না মাছরাঙা বা বুলবুলি---
সাত রঙ তখনও ডেকে বলেনি---
এই প্রজাপতি—
কিছু নেই আমার, চলো না---তোমার ডানায় ভর করে চলি।


আজ আমি সেখানে দাঁড়িয়ে, যেখানে আছ তুমি---
অবাক হয়ে দেখছি আমি-- সবুজ শ্যামলিমা, অশান্ত পাখির দল, বাঁকে- বাঁকে চলা নদী –
অন্ধকার ছেঁদই রবি--- সব আছে তোমার,
এ যে সর্বাঙ্গে-সম্পুর্না রূপের সাজ—যা দেখে আবারও পাগল হলাম আমি।


সন্দেহ নেই, এই সেই তুমি যাকে খুজেছি- আমি, আমরা কিমবা অন্য কেউ—
একবার, শুধু একবার মুষ্টি বদ্ধ করে- প্রতিজ্ঞা কর তুমি,
নির্দয়, তাচ্ছিল্যের আর স্বার্থপরতার জবাব দিতে বুকে জাগাবে সর্বগ্রাসি ঢেউ।।
  
০৮-০৫-২০১৪