বক্তার বক্তৃতা - সম্মুখে অগ্নিগর্ভা জনতার আস্ফালন
শুনতে চাইনা ওসব বস্তাপচা আশ্বাস আর খনার বচন।
মূখ্য আমি এই জনসভায়  ।
জমকাল নিশানের ঔপনিবেশিক ধারক আমি –
মায়া, মমতা, ভালোবাসা, বিবেক সব- সবকিছু
পদযুগলের অন্তরিক্ষে নিমজ্জিত।
বুদ্ধিজীবী, সুশীল কিংবা বলতে পার গোত্রের নিয়ন্ত্রক
আমি মানিনা সেই আলিঙ্গন যেখানে সুস্থ্য ভ্রুন হবে পর্যবেক্ষক।
সুশীতল ছায়া সুনিবিড় ঐ দীঘির জলে তেজস্ক্রিয়া দেখতে চাই
এক কোণে বসে থাকা ছোট্ট মাছরাঙা
যে কি না নিজ সন্তানের খাবারের সন্ধানে—
এক ছোবলেই বেঁচে থাকার চির বাসনা চলে যাবে অবসানে।  
জল, স্থল, আর নীল সীমানায় সেই জঞ্জা উড়াতে চাই
যা কেবল আমারই স্বার্থক নিশান ---
সারারাত জ্বলে থাকা দিপ শিখা চাই না আমি
আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের জ্বলন্ত লাভা চাই
আজকের মাইক্রোফোন শুধু আমার হাতে---
ক্ষণজন্মা কেউ-কেউ আমায় থামাবে না।
আমি নিষিদ্ধ পাড়ার দালাল হতে চাইনা—
দয়া করে কেউ আমাকে পতিতা বলবে না।
কাঁচের কাঁকন হাতে নিয়ে বধূ বলেছিল
এমনি একটি সোনার কাঁকন বানিয়ে দেবে আমায়?
সোনার মুল্য সাধ্যের বাহিরে
ঘর হতে বের হয়ে যায় ।
আর ফিরে আসেনি।
ভোরের আলো ফুটতেই কে যেন ছুটে এসে বলে
ওরে কাঁকন প্রত্যাশী
তাজা বুলেট বুকে নিয়ে তোর সোনার তাজ আজ রাস্তায় গড়ায়।
সোনার অনেক দাম তাইনা?
সন্তান জন্ম দেবার আগেই পাগলিনী হয়ে তোমদের সুধায়।
জাবাব চাই আমার –
তোমাদের কাছেই আমি আমার জবাব চাই।
এই মঞ্চের প্রধান অতিথিকে অসম্মান করতে চাই আমি
বলতে চাই কে প্রাধান অতিথি?
মানবতার কসাই, ভালোবাসার হত্যাকারি, হাজার ভ্রুনের জন্মদাতা
সেই প্রধান অতিথি চাইনা আমি।
বিশ্ব বিবেকের কাছে আজ আমি প্রশ্ন বিদ্ধ---
হ্যাঁ - হ্যাঁ আমি তাই থাকতে চাই।
প্রতিটা মুহুর্তে ধুপের মত জ্বলে অন্যের ঘর শুদ্ধিতে ইচ্ছা নেই।
আমার গাজী হবার সাধ চিরতরে মিটে গেছে—
হে জাগ্রত বিবেক—শুধু একটা জবাব দাও
পারবে আমার সেই ঘর দিতে---
যেখানে মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমাব পরম শান্তিতে??


মোঃ তৈমুর মল্লিক
১৯/০৬/২০১৪