সভায় আছে যত বিবেক, আমি তাদের কাছে বলতে চাই –
আমি দেখেছি সেই মজুর--
সন্ধ্যার আলো জ্বলবে যবে, পুর্বেই বাড়ি ফিরবে তবে,
ওরা ওদের হাসি করেছে দান
ওদেরকে স্মরণে রেখেছে কে কবে !
ওরা জন্মেছে গড়ার আশে, দিয়েছে বলিদান,
ওরা ছুটেছে চিতার ন্যায়  
সভ্যতার কারিগর হয়েও- পেয়েছে শুধু জাতের দায়।
হে-জনতা আমি জানতে চাই—
ওদের সাজানো বাগানে দাঁড়িয়ে গিরগিটির দল
ওরা এখন ক'বেলা খাঁটিছে দাঁড়িয়ে থেকে ঠাঁই?
এইচসিএফসি-র মাঝে দাঁড়িয়ে  
নিকোটিন আর কার্বন-মনোক্সাইড রক্তে নিয়ে,
ওরা কেঁদেছে-বাবু একটূ সময় চাই,
শিশু মোর মরিবার তরে বধূ মোর হয়েছে নিরুপায়।
বাবুরা হেসেছে বিদ্রুপের হাসি-জংলি চাষা, ফকিরের সব দল,
তোদের ঘর শ্মশান হলে কি আসবে যাবে বল?
হে- জনতা, এই মঞ্চে বিভাজনের ভাষণ
আমি আর শুনতে চাইনা—
সভ্যতা যার হাত ধরে নীল আসমান ছুঁতে চায়,
ব্রাক্ষনী ব্লাইন্ড, হায়েনার দল তাদেরই বিকায়।
জনতা-আমি আর বলতে চাইনা,
ভাষা নেই, তাল নেই, লয় নেই--  
তালপাতার ঘরে দিয়ে আগুন
পাষন্ড আর ভ্যাম্পায়ারের বিজয় ফাগুন,
ভোরের আলোতে শুরু, অন্য শুরুতে শেষ,
কালো পুঁজির  অন্ধকারে
ওরা মজুর, তাইত অভিযোগের খাতা শূণ্য বেশ।
দিক হতে দিক দিগান্তরে
ছুটছে ওরা ছুটছে,
কিবা নারী কিবা নর, শ্রমের মুল্য বুঝে নিতে
ওরা দেয়ালে মাথা ঠুকে মরছে।
ওরা স্বাধীনতার জন্ম দিয়েছে , সভ্যতাকে আলিংগন,
পদে পদে ওরা ঠকেছে, তবুও হয়নি খরস্রোতা,
বলবে আমায় হে-জনতা এটাই কি স্বাধীনতা??


মোঃ তৈমুর মল্লিক
২৫/০৬/২০১৪