তোমরা মানুষ দেখেছ, মান আর হুঁশ কখনও দেখেছ?
সবুজ বাংলা দেখেছ, দেখেছ তাঁর আর্তনাদ?
তার কান্না-হাসির খেলা দেখেছ কভু?
দেখছ ঐ আট বা দশ বছরের ছেলেকে?
ঘরে আছে যার হামাগুড়ি দেয়া একটি মাত্র সহোদর !
বিত্তের সভ্যতা যখন রমজানের ইফতারী কেনায় ব্যাস্ত
ছেলেটি তখন মলিন অসহায় বসনে দাঁড়িয়ে,
মান আর হুঁশ তখন গড্ডালিকা প্রবাহে --
সময় কোথায় একবার ফিরে দেখার !
পাথর চোখের পানির ঝর্না- কপলের উপর শুকিয়ে।
এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে কাকগুলো বসে আছে।
কোন এক বিত্তের ভুলে ভরা একটা জিলাপি
কুড়িয়ে নেয় নিজের হাঁতে।
একছুটে এসে বসে—
খুশিতে ভরে ওঠে মাসুম হৃদয়।
দ’হাঁতে জিলাপিটা ধরে,
একচোখ বন্দ করে অন্য চোখে দুনিয়া দেখে
জিলাপির জানালা দিয়ে।
এর পর কি দেখতে চাও তোমরা?
না- সে খেতে পারেনি –
ছুটে যায় দেয়ালটার কাছে, একটানে তুলে নেয়
পোষ্টার, যেখানে রমজানের সংযমের কথা লেখা আছে।
প্রচণ্ড বেগে, ভালোবাসার পুর্ন ঝড়ে ছুটে চলে
যেখানে আছে সেই-ই হামাগুড়ি দেয়া সহোদর।
একটু একটু করে মিস্কিন ঐ ভাইকে খাওয়ায়
চোখ ভরা পানি নিয়ে –খুশিতে চমকায়।
সভ্যতার বিত্তেরা তখন ভরা জোছনায়।
ছোট্ট সহোদর মানবতার পক্ষে উঠে দাঁড়ায়-
খন্ডিত জিলাপি হাঁতে তুলে ভাইয়ের মুখে তুলে দেয়
সভ্যাতা সেদিন দেখেনি সংযমের অপুর্ব নিদর্শন
যারা পেতে চায় ইফতারের পরে কালো মদের দর্শন।
আর কি দেখতে চাও তোমরা ?
শুধু একবার দেখ পোস্টারের উপর পড়ে আছে সেই
অশ্রু মিশ্রিত জিলাপির অংশ---
যেখানে লেখা আছে রমজানের সংযম,    
কি বলবে হে জনতা রমজানের সংযম নাকি মামা কংশ ?


মোঃ তৈমুর মল্লিক
২৭/০৬/১৪