সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসা পাখিকে ঢিল ছুঁড়ে দেখ
মানবতা বিরোধী হবে তুমি,
জীবন্ত মানুষের জীবাশ্ম নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেখ
হিপোক্রেট হবেনা তুমি।
আলাস্কার বিয়ারলেক আরোরা দেখেছ,
যেখানে রহস্যময় আলোর উৎপত্তি হয়?
দুনিয়া তাকিয়ে রয়---
বাংলায় আজ রহস্যে ঘেরা রক্তের স্রোত দেখা যায়।
ঈগলহক নেক ভুমি দেখেছ !
সংকির্ণ রাস্তা, যার ছোঁয়ায় বিভক্ত -- অবিভক্ত হয়
পাষাণ হৃদয় সেই সংকির্ণতাকেও হার মানায়।
যে দেশের মাটি অজানা রহস্য শেম্পেন লেককেও লজ্জা দেয় ।
যে দেশের সবুজে, শ্বেত মরুভুমি মুখ লুকায় ,
যে দেশের রমণীর জোড়াবেনিতে সুমাত্রা দ্বীপের ছবি,
যার ফুলে ফলে এত রূপ এত রয়েছে মায়া  
সেই দেশে কেন এখন দৃশ্যমান---  
কারা-কুম মরুভুমির  নরকের দরজার ছায়া !
মেয়েটি চেয়েছিল অপূর্ব সুন্দর টলটলে পানি
যেখানে ছিটানো ঝিনুক নিশ্চিন্তে সাঁতার কাটে।
ও চেয়েছিল  নাপা ভ্যালির মত ---
নেই কোলাহল, নেই সভ্যতার নির্মম শব্দ এমন একটা দেশ,  
সেই কিনা শকুনির কামড়ে পাড়ি দিল ওপারে !
হুয়াশান পাথ, স্কিলিং মাইকেল পাথ দিয়ে যদি মানুষ চলতে পারে
আমার সুশীতল মেঠো পথ কেন এত বন্ধুর ?
রবীন্দ্রনাথের জল পড়ে পাতা নড়ে তাহলে মিথ্যা ছিল?
হিসাবের অংকটা আজ বড়ই গোলমেলে—
কি হবার কথাছিল, কি হয়ে গেল কার ছলে।
ঐ যে দুরে তারার মেলা, ঐ আকাশের চাঁদ--  
যে দেশের মা সন্তান বুকে—হাঁতে রয় দুধভাত ।
যে দেশের তাজাপ্রান শোলক শুনতে কাজলা দিদি খুঁজে ফেরে  
জসিম উদ্দিন, জানবেনা সব হারিয়েছে পদব্রজে গিয়েছে সে হেরে।
কবিতার লাইন লিখতে গিয়ে আজকের কবি হয়েছে অন্ধ,
প্রেয়সীর প্রেম চলে গেছে বহুদুর—সবাই আজ দেবদাস সম  
এ যেন চলমান স্রোতের ছন্দ।  
দিকে দিকে চিৎকার --রোম যখন আগুনে জ্বলছে ,
কলম হাতে নিরোর দল ললনার ছলনায় টলছে।
যে দেশের মসজিদের মাইক কেড়ে নেয়া হয়,
যে দেশের চিতায় ছেটান হয় জল—
কি করে পাবে হে জনতা সুন্দর সুমিষ্ট ফল???