যেন ভয়ংকর চিৎকার, শতাব্দী কেঁপে উঠছে,
পরিচিত সেই আত্মাটা"" কান্নায় আর্তনাদে,
প্রখর, তীব্রভাবে মাটিতে নুইয়ে পড়ছে।
আমি অদ্ভুত ভাবে হতবাক হয়ে দেখছি,
মস্তিষ্কের সমস্ত দিয়ে এর উত্তর খুঁজছি।
এত চিৎকার এত আর্তনাদ কেন?
এটা কি ভালোবাসার নিমজ্জিত নির্মমতা,
হয়ত ভয়ংকর মৃত্যুভয় নয়ত প্রখর বাস্তবতা।
এত তীব্র আর্তনাদ আমি দেখি নাই আগে,
আত্মাটা বন্দী, আগুনের ভয়ংকর শিকলে।
আমায় মুক্ত করে দাও, আমি ফিরতে চাই,
আবার দুনিয়াতে বিসর্জনে সব আঁকতে চাই,
নতুন অজানা অবাস্তব কে বাস্তব করতে চাই।
আমায় আর একটা সুযোগ দাও, দয়া কর!
আমার সমস্ত ত্রুটি আর একবার মাফ কর।
আমায় আর একটা সুযোগ দাও, আমি
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হয়ে, সবার মাঝে বেঁচে থাকবো।
শুভ কাজে দুনিয়া ভোলাবো, আর নিকষ কালো
অন্ধকার মুছে দিয়ে, এক চাঁদ আলো ছড়াবো।
আমি মৃত্যুকে" জয় করতে চেয়েছিলাম,
আর বাস্তবতায় মৃত্যু আমাকে তীব্র চেয়েছিল।
চাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হলেও নিয়তি লিখিত সত্য,
সব করে মিথ্যে হলো সেটাই, এখন নিয়তি তৃপ্ত।


সংক্ষিপ্ত