সবেই মাত্র পার করেছে পাঁচুগোপাল মধ্য চল্লিশ
এর মধ্যেই পাত্রী দেখেছে সে দুই সেঞ্চুরি ও বিশ।
সরকারি বড় কর্মচারী যে সে, রোববার কাজ নাই
প্রতি রোববারই ঘটা করে তাই, পাত্রী দেখা চাই ।
পাঁচু একজন আদর্শ পুরুষ, গুনের নাইকো শেষ
হাঁড়িতে মানানসই সরার মতো পাত্রী খোঁজে সারা দেশ ।
দশভুজ সহ অন্নপূর্ণা ও রূপবতী লক্ষ্মী যে তার চাই
কিন্তু হায় ! বিধি বাম সদাই, পাঁচুর খোঁজার অন্ত নাই ।


স্কেল দিয়ে মেপে মেপে পাঁচু যে পায় শতশত খুঁত
একটিও পাত্রী যে হয়নাকো, তার মনের মতন যুত ।
কারও রং বড্ড চাপা, কেউবা একটু বেশিই স্থূল
কারও গলাটা ফাঁপা, ছোট আবার আঁখি গুলো ।
কারও উচ্চতা তৃণ সমান, নাকটা ও বেশ বোঁচা
কেউ একটু লম্বা হলেও ঠোঁটের উপর লোমের খোঁচা ।
এমন আছে কত রকমের পাত্রীদের শতশত খুঁত
তাইতো পাঁচুর বিয়ে হয়নাকো, পাত্র যে সে রাজপুত ।


এইতো দু-চার বছর আগেও পাঁচুর, বেজেছিল প্রায় সানাই
সবই ঠিক ছিল তবে বাপু, মেয়ের নাম নাকি কানাই ।
ডাকনাম ! তবুও কেন এমন হবে মেয়েমানুষের নাম ?
দেশ-দেশান্তর পাত্রী খোঁজে পাঁচু, চাই যে উপযুক্ত বাম ।
গত বছর ও একটি পাত্রী দেখিয়েছিলো ঘটক মিত্র
পাত্রী বেশ রূপবতী হলেও, কপাল চওড়া অতিরিক্ত ।
দুদিন আগেও ঘোষাল মশাই এনেছিল এক সন্ধান
পাত্রী ছিল বেজায় সুন্দরী, কিন্তু সর্বদা সে খায় পান ।


এইভাবেই পাত্রী দেখে দেখে পার হয় পাঁচুর রোববার
পাঁচুর মনের দুঃখ বাড়ে, হৃদয় যে হয় তোলপাড় ।
পাত্রী দেখে দেখেই পাঁচুর কেটে গেলো অন্তকাল
মনে মনে ভাবে, এতই কি হায় মেয়েদের আকাল !
পেস্টিজ সব বিসর্জন দিয়ে দ্বারে দ্বারে শুধু ঘোরা
ডায়াবেটিস আর অম্বল নিয়ে পাত্রীর বাড়ি থেকে ফেরা ।
তাইতো পাঁচু পণ করেছে, বাড়ি বাড়ি ঘুরে নয় আর ভিখ
বেঙ্গলি ম্যাট্রিমোনিতে একাউন্ট খুলেছে, অনলাইনই দেবে দিক ।