প্রিয় আম্মাজান,


আমি জানি এখন এই চিঠিটা তোমার হাতে আর তুমি কিছুটা অবাক হয়েছো এটা কিসের কাগজ এটা ভেবে, ভয় পেয়ো না আম্মাজান,তোমার প্রতি আমার এক আকাশ সমান অভিমান জন্মানো কথাগুলো সামনাসামনি তো বলতে পারিনি তাই একটা চিঠি দিয়ে গেলাম।
জানো আম্মু সংসারের বড় ছেলে হওয়ায় কত পেশারে থাকতে হয়? আমার জীবনে আমি যেটা করবো ভেবেছি ঠিক তার উল্টাটা করিয়েছো আমাকে কখনো সাহস দেওনি সব সময় বলেছো তামিমের ধারা হবে না হবে না কিন্তু কখনো সাহস দেওনি।কখনো বলোনি শুরু কর পাশে আছি, আমি জানি আমরা মধ্যেবিত্ত পরিবারের সদস্য, আমাকে নিয়ে তোমরা যা দুঃচিন্তা করো তার থেকেও বেশি আমি তোমাদের নিয়ে করি নিজেকে নিয়ে করি,কিন্তু ওই যে ছোট বেলা থেকেই সাহস দেওনি কোনো কিছুতেই তাই সব কিছুতে সাহস হয়ে উঠেনি, কিন্তু পরিবারে তোমাদের কাছে জঘন্যতম মানুষ হয়ে এভাবে বেচে থাকা যায় মা? আমি মনে করি ফ্যামিলি ডিপ্রেশনের থেকে বড় ডিপ্রেশন দুনিয়ায় আর কিচ্ছুতেই নেই।তোমাকে অনেক ভালোবাসি আম্মু আব্বুকেও,ভাই বোন ওদেরও কিন্তু কখনো না বলা হয়ে উঠেনি যে ভালোবাসি।তোমাদের এই কথাগুলো লিখছি আর অঝোরে কান্না করছি আমি, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমার। আমি এই জীবনের ভার আর নিতে পারছি না বড্ড কষ্ট হচ্ছে আমার। অনেকবার আত্মহত্যাও করতে চেয়েছি কিন্তু ওই যে ছোট বেলা থেকে কোনো কিছুতে কেউ সাহস দেয়নি তাই এটাতেও সাহস হয়নি। তোমাদের মুক্ত করে দিলাম আমি নামক মানুষটার থেকে,আজ থেকে কিছুদিন কান্না করবে আমাকে মিস করবে এটা ভাব্বে যে যা করেছো আসলে এগুলো ঠিক হয়নি ওকে কিছুটা বোঝা উচিৎ ছিলো আমাদের। যাই হোক তোমরা সবাই ভালো থেকে এই সার্থপর দুনিয়ায়, আর কখনো সম্ভব হলে না ফেরা মানুষটাকে ক্ষমা করে দিও।