একটি নিথর যুবকের দেহ;নীচে
শিশির ভেজা ঘাসে রক্তের কলচে দাগ ;উপরের
ডালে কাক ডাকছে-
এক প্রবীণের চিৎকারে কাকটিও উড়ে যায় ;জমে
উৎসাহি জনতার ভিড় ।
প্রশ্নবান ছোঁড়ে একে অপরের দিকে ;কেউ দেখে না
জীবিত না মৃত  ।
বেলা বাড়লে পুরোসভার ভ্যান আসে;সবাই দেখে
বাঁ-পাশে ছোট্ট ক্ষত
ঠিক হৃৎপিন্ড বরাবর; এফোঁড়-ওফোঁড় হয়েছে ।
বুকপকেট একটি রক্তমাখা চিঠি উদ্ধার হয়;যা
বেশির ভাগ অস্পষ্ট, কিছুটা-
"বাবা পারলে আমায় ক্ষমা করো;
অন্বিতমার কাছে যাচ্ছি , মাকে প্রণাম দিয়ো ।
ইতি তোমার সপ্তক "।


খবরের কগজে টুকরো খবর "যুবকের দেহ ঊদ্ধার "।
অন্বিতমা ডুকরে ডুকরে কেঁদে ওঠে;
এ সমাজ,পৃথিবী হতে নিজেকে আড়াল করতে
পালিয়ে বেড়ায় প্রান্তরে-প্রান্তরে ।
তোমার আমার মতো কোনো সুহৃদের সান্নিধ্যে,পৌঁছে যায়
যৌনতার আতুর ঘরে ।
হিংস্র শ্বাপদেরা প্রতিদিন আঁচড় কেটে যায়  যন্ত্রণার ;আর
সপ্তক প্রতিদিন বাঁচে,অন্বিতমার পায়ে ফোঁটা-ফোঁটা হয়ে ঝরে ।


যুগে যুগে সব পাল্টায় ,পাল্টায় না অন্বিতমাদের জীবন ;
গুমরে মরে আলো-আঁধারের রহস্যময়তায় ।
এর চেয়ে ঢের ভালো আদিম গুহার জীবন;
মানুষে তো ভয় ছিল না ।