আপন খেয়ালে-
শিল্প-সুদূর আলয়ে আলোড়িত করে নূর ;
নূরের-নূরে সৃষ্টি অসীম মহাবিশ্বে বিরাট বিস্ময়ে ,
সাজে এ রঙ্গশালা ।

আলো আঁধারির রহস্যময় দোদুলমান এ রঙ্গশালায়-
প্রথম পর্দা ওঠে ।
মরু-প্রান্তরে বাজে মিলন সুর;সাত আসমান পরে'
দীর্ঘ হৃদয় চড়া ভাঙে উদ্বেল নোনাজলে ।
অঙ্গে-অঙ্গে জমে দৃঢ় অঙ্গীকার,ঘোর কামনায়
থরো-থরো কাঁপে দুটি তৃষ্ণিত হৃদয় ।
অলক্ষ্যে উপরে সৃষ্টির চাঁদ হাসে ,নীচে হাসে নট নটী ।


দীর্ঘকাল ধরে-
কালের মাতাল স্রোতে ভেসে ভেসে
আসে কোটি কোটি অভিনেতা অথবা প্রেতছায়া বেশে;
দূর-দেশের একেলা দর্শক দেখে
এক মঞ্চ এক নাটক হাজারো দৃশ্য,শোনে সংলাপ-
অগণিত অভিনেতার ক্ষণকাল বিচরণ।প্রতীক্ষা দীর্ঘকাল গ্রীণরুমে ।


আগামী দৃশ্য ডাকে যবনিকা ;
ঘুম ভাঙার ক্লাইম্যাক্সে ঘাম ছুটে যায়,আপন অভিনয় ফুটে ওঠে দৃশ্যপটে ।


ভাঙে এ মঞ্চ
উন্মোচিত হয় দুটি রঙ্গমঞ্চের দ্বার,একটি আমার একটি তোমার ।
যা অনন্ত পুরস্কার –লেখা ছিল নাটকের প্রথম পাতায় ।