চার বোন আর এক ভাই ;
সবার আদুরে, 'পঞ্চু' তাই ।
মাথা ঠুকে মন্দিরে -দরগায়
এসেছে সে ঘোর অমাবস্যায় !
রঙ তার বিদঘুটে ঘুটঘুটে কালো
আঁধারে চেনা যায় না ভালো ।


আমাদের মামা বড়ই ফান্টুস
নাটা নটখটে নধর নাদুস-নদুস ;
হাইহিল বুট তার চোখে সানগ্লাস
রকবাজি শখে ,দিন কাটে ফার্স্টক্লাস ।
হিরো-হিরো হাবভাবে হাসে বিচ্ছিরি হাসি
রংবাজি দেখে হেসেছিলো ওপাড়ার তিসি ।
সেই থেকে হেঁড়ে গলায় গাই গান ;
কালো রং ঘোচাতে মরিয়া সর্বক্ষণ ।
কিছুতেই মিটবে না বোঝে সব শেষে;
'মন্দ আর কি'-বলে হেসে হেসে ।


সেদিন সকলে মামাদের ছাদেতে
হৈ হৈ মাতোয়ারা ঘুড়ি ওড়াতে  ;
অনেক দেখে মামা কয় "ধুৎ তেরি
দে লাটাই এক মস্ত প্যাঁচ মারি "।
লাটাই হাতে মামা না পাই তাল
ফোঁসফোঁস রাগে চোখ হয় লাল ।


মান বাঁচাতে দেয়ালে ঠেকিয়ে পা কেরামতি ভাজে;
দেখি মামা নেই পিছনেতে-শুনে ঝন্-ঝন্ আওয়াজে ।
"ধর ধর তোল্ তোল্ "-শুনে মাসিদের চিৎকার হাঙ্গামা
দেখি টিনের চালা ভেঙে মুখ গুঁজে পড়ে আছে পঞ্চু মামা ।