সেই ঈদে        
শুর্মা আঁখির মায়া রেখে ঘর-সংসার ছাড়লে;
সাথে আমাকেও । ঠিকানাহীন নির্বাসনে তুমি-
জমেছে কত চিঠি তোমার নামে আর প্রতি ঈদে
                      চোখের শুর্মা ধুয়ে-ধুয়ে যায় ।


যে চাঁদ
আনে সোনালি উৎসব বিশ্বমাঝে ঘরে-ঘরে;সে চাঁদে
অতীত স্মৃতি কাঁপে থরো-থরো আঁধার ঢাকে আমায়
অন্তর-বাহির তোমার স্পর্শহীন অস্তিত্ব ফুটে ওঠে;
                          চোখের শুর্মা ধুয়ে-ধুয়ে যায় ।


যে ঈদে
তুমি ছিলে সকাল সূর্য আকাশতলে ভরসার ধ্রুবতারা,
স্বাদ আর সাধের পূর্ণ উপন্যাস কামরঙা প্রজাপতি ;ছিলো
তোমার বুকেই আমার সাহস-লাজ-অস্তিত্ব। এখন প্রতি ঈদে
                          চোখের শুর্মা ধুয়ে-ধুয়ে যায় ।


ছুটি চাই
আগামী ঈদে - শুর্মা চোখে হুবুহু তোমার মতো । আকাশ-
চাদর হবে বাতাস দেবে শীতলতা মাটি দেবে তোমার ঘর;
আগামী ঈদে এমন ছুটিই চাই – ঈশ্বর করুন করুণা । ঈদে
                       আর চোখের শুর্মা ধুয়ে-ধুয়ে যাবে না ।