ডাগর বনফুল চোখের চাহনির মাতাল নেশায়
ইন্দ্রধনু মন বিবর্ণ হয়েছে নিষ্ঠুর  প্রেমে ।
বহ্নি-স্বপ্নের ইতিহাস না জেনে , উৎসুক আমি-
হয়রান হয়েছি, গেছি রকীব দ্বারে বহু বেদনায় ।
                
বৈরী তুমি আমায়-“রকীব” বলো তবে সন্দেহ দু’চোখে
জটলা বাঁধা বুকে ইন্দ্রজালে এ প্রেম খাক্ হলো পুড়ে ।


উল্লসিত বুকে তোমার পথে-পথে নির্ঘুম রাত-
মৌনতায় কেটেছে । কত আকাশ তারা ? কানাকানি করে-
হাজার মৃত্যু আর সংশয়ের দিন সঁপেছে দু’হাতে !
বিচ্ছেদের বুকে-  সাদা কাফন সাথে নিত্য সংঘাত ।


আর ভরা বাজারে  রকীবদের মাঝে হেসে হেসে তুমি;
পর্দা ওঠাও আমার ভাঙা মনের । আমার আড়ালে !


জাম-এ-পেয়ালা ছলকায় তোমার সুখের বাসর,
আর এ বুকে নাচে নিয়ন্ত্রণ হীন সুখের মরণ ।


আমার সাধ এই-
তোমার জানাযা না আসে আমার আগে ,তোমার সব ভার
আমার বুকে নেবো ; কিয়ামতের দিনে পাশাপাশি থেকে ।


তুমি পাষাণী যদি না বোঝ হৃদয়ের নীলাভ বেদনা ;
তবে পদ চিহ্নে তোমার, ফুটুক রক্ত গোলাপ আমার
যুগে যুগে আমার কষ্ট লেখা থাক - গোলাপের  কাঁটায়
এর বেশি আর কোনো সাধ আমার নেই ;
আর মানুষের থাকতেও নেই ।


বিঃদ্রঃ - রকীব=শত্রু, জানাযা = মৃত্যুর পরে নামাজ কবরের আগে